বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

‘ডিজিটাল পাঠের বাইরের শিক্ষার্থীদেরও দ্রুত অংশগ্রহণ করানো হবে’

বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক :   |   রবিবার, ২১ জুন ২০২০

‘ডিজিটাল পাঠের বাইরের শিক্ষার্থীদেরও দ্রুত অংশগ্রহণ করানো হবে’

করোনাকালে যেসব শিক্ষার্থী এখনো ডিজিটাল পাঠের আওতার বাইরে রয়েছে তাদেরকে পাঠে অংশগ্রহণের সুযোগ নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। করোনাউত্তর নতুন স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে পাঠদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

২০ জুন (শনিবার) বিকালে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের উদ্যোগের আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিক্ষার ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


সংসদ টিভি বা অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে দূরশিক্ষণ শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে না বলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সাম্প্রতিক গবেষণার জরিপটি মিটিং এ উপস্থাপন করা হয়।

দেশের প্রত্যেকটি বিভাগের দুটি করে জেলা অর্থাৎ ১৬টি জেলা বাছাই করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক হাজার ৯৩৮ জন শিক্ষার্থীর ওপর এই জরিপ করা হয়।


এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো গোলাম ফারুক বলেন, ‘খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল মাধ্যমে পাঠদানের ক্ষেত্রে আমরা সফল। তবে শতভাগ অংশগ্রহণ সম্ভব হয়নি। এ অংশগ্রহণ নিয়ে মাউশি একটা জরিপ করেছে। সেখানে সারাদেশে সাড়ে ১০ লাখ শিক্ষার্থী এর আওতার বাইরে আছে। এর শতকরা হিসেবে ৭ ভাগের কম। আর এটা মূলত হাওর চর ও পাহাড় এলাকার শিক্ষার্থীরাই বেশি। তাই সংখ্যার হিসেবে এটা খুব বেশি নয়। তাই এটা সন্তোষজনক। তারপরও আমাদের চেষ্টা থাকবে বাদ পড়া সেই শিক্ষার্থীদের সংসদ টিভির পাঠদানের মধ্যে নিয়ে আসা। সেজন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে এর মধ্যে মোবাইলেই বিনামূল্যে শিক্ষকদের পাঠদান পাবে শিক্ষার্থীরা পাশাপাশি রেডিওর মাধ্যমে কিংবা অন্যান্য মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ব্র্যাকের জরিপে ১৪ ভাগ শিক্ষার্থী পড়াশোনার ছাড়াই অলস সময় পার করছে বলে জানানো হলে মাউশির ডিজি বলেন, ‘স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই যখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী মুখোমুখি থাকেন সেই সময়টাতে ও কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এটা খুব একটা হতাশাজনক নয়। বরং এই ভ্রমণের সময় শিক্ষার্থীরা বেশ সাড়া দিচ্ছে। তাদের অনুপস্থিতির হার কমেছে এবং উপস্থিতির হার দ্বিগুণ হয়েছে। শিক্ষার্থী শিক্ষক এবং অভিভাবকদের দ্রুত সাড়া দেওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে।’


ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সিলেবাস কমিয়ে আনার পক্ষে ব্রাকের জরিপের ৩৫% শিক্ষার্থী মতামত দিয়েছে জানানো হয়।

সিলেবাস কমানোর বিষয়ে মাউশির একটা জরিপের পরিপ্রেক্ষিতে মাউশির মহাপরিচালক বলেন, ‘মাউশির জরিপেও ৩০ থেকে ৪০ ভাগ শিক্ষার্থী সিলেবাস কমানোর পক্ষে আছে। তবে বাকিদের মতামত সম্পর্কে এখনো স্পষ্টটা নেই। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সিলেবাস কমানোর বিষয়ে একটা পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়া হবে।’

করোনাউত্তর পরিস্থিতিতে নতুন স্বাভাবিক অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরের ব্যবস্থা সম্পর্কে মিটিংয়ে প্রশ্নের সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘সেপ্টেম্বর কিংবা এর আগে বা তারপরে যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব রাখার প্রধান বিষয় হবে। যদি সেপ্টেম্বরেই খোলা হয় তাহলে অবশ্যই যে পরীক্ষাগুলো বাকি আছে প্রথমেই সেগুলো নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’

অনলাইনের আওতায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা যারা ইন্টারনেটের আওতায় নেই তাদের ব্যাপারে কী ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে এবং ইন্টারনেট ফ্রি করে দেয়া যায় কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন করা প্রাথমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী এখনো পাঠদানের আওতায় নেই তাই সিলেবাস শেষ করতে পারলেও কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু প্রাথমিকের শিক্ষাটি বছরের একটি চলমান চক্র। সেখানে পরীক্ষার বিষয়টি এত গুরুত্বপূর্ণ নয়। সিলেবাসের বিষয়টিও নগণ্য। সেখানে পাঁচ বছরের শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখতে পারল সে বিষয়ে আমরা মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করছি। সেখানে হয়তো আমাদের কিছু ক্লাস বাদ পড়েছে। পুরো শিক্ষা চক্রের মধ্যে কয়েক মাস বাদ পড়লে শিক্ষার্থীরা কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সেগুলো থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যেসব শিক্ষার্থী এখনো আমাদের আওতার বাইরে তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ বেতার, সরকারের এটুআই এবং ইউনেস্কোর সহযোগিতায় ফিচার ফোনে পাঠদানের জন্য কাজ করা হচ্ছে।’

‘হেল্পলাইনের মাধ্যমেও আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে যাচ্ছি পাশাপাশি শিক্ষক প্রশিক্ষণ এখন বন্ধ রয়েছে। সেটি চালু করার জন্য ব্রাকের সাথে সমন্বয় করে অনলাইনে শিক্ষক প্রশিক্ষণের কাজটির শুরুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’ ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ঘরে বসে শিক্ষার্থীর দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সকল বাধা দূর করার বিকল্প ব্যবস্থার কথা চিন্তা করতেও বলা হয়।

বেসরকারি এবং এনজিওভিত্তিক স্কুলগুলোর শিক্ষা প্রণোদনার আওতায় আনার প্রস্তাব রাখা হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষা প্রণোদনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরই সদয়। এই বিষয়টিও তাকে জানানো হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে বিনামূল্যে শিক্ষা সুবিধা পেতে পারে সেজন্য চলতি মাসেই পরীক্ষামূলকভাবে হেল্পলাইন চালু করা হবে। সেখানে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের কাছ থেকে পারতেন নেয়ার সুযোগ পাবে।’ ভার্চুয়াল মিটিংয়ে রাখা বিভিন্ন সুপারিশ এবং পরামর্শগুলোও গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

অনলাইন মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।

advertisement

Posted ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২১ জুন ২০২০

Weekly Bangladesh |

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.