বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২২
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশাহারা। দেশে চলছে সরব দুর্ভিক্ষ। ভয়ঙ্কর সর্বগ্রাসী দুর্ভিক্ষ ধেয়ে আসছে। ৩ এপ্রিল (রবিবার) রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, একদিকে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষরা টিসিবির গাড়ির পেছনে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে। মানুষ খেয়ে না খেয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। অন্যদিকে উন্নয়নের মহাসড়কের দাবিদার নিশিরাতের সরকারের প্রধানমন্ত্রী সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে রাষ্ট্রের শতকোটি টাকা খরচ করে জমকালো কনসার্টে গানবাজনা আর আমোদ-ফুর্তিতে মেতে রয়েছেন। তিনি দাবি করেন, বিনাভোটের প্রধানমন্ত্রী যখন আমোদ-ফুর্তিতে ব্যস্ত, তখন দেশে টাকার অভাবে সন্তান বিক্রি করছেন মা। সেচের পানির অভাবে আত্মহত্যা করছেন কৃষক। কে নেবে এসবের দায়?
রিজভী বলেন, মানুষের ক্ষুধার জ্বালা না মিটিয়ে শুধু একজন ব্যক্তির ক্ষমতার লালসা মেটাতে গিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘৃণা ও বিদ্বেষ। লোভ-লালসা, প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা-এটিই যেন এখন রাষ্ট্রের দর্শন। ধর্ষণ, আত্মহত্যা, মায়ের হাতে সন্তান হত্যা, সন্তান পিতাকে খুন, সীমাহীন দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যে নাভিশ্বাস, গরিব খেতে না পেলেও শতকোটি টাকায় আয়োজন করা হয় কনসার্ট।
তিনি দাবি করেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যারা শেখ হাসিনার তথাকথিত উন্নয়নের মতো মডেল গ্রহণ করেছিল তাদের দেশে এখন লালবাতি জ্বলছে। আমাদের দেশে যেমন উন্নয়নের নামে লুটপাট হচ্ছে ঠিক তেমনি ওইসব দেশেও তাই হয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নে সেসব দেশ এখন দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। সেসব দেশে এখন বিদ্যুৎ নেই, কাগজের জন্য পরীক্ষা নিতে পারছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো, পাঁচশ টাকা কেজিতেও চাল মিলছে না। ওইসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা জনরোষ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই বিষম চিত্র বাংলাদেশেও বিরাজমান।
Posted ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh