বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ঈদের আগে করোনা মহামারীর মধ্যেও হু হু করে বাড়ছে রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ বাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মে মাসের প্রথম ৯ দিনে ৯১ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ১১ মে (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সব সময় ঈদের আগে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা যেন দেশে ঈদ করতে পারেন এ জন্য তারা বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠান। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
এপ্রিল মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। যা আগের বছরের এপ্রিল মাসের চেয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি। গত বছর এপ্রিলে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। এদিকে রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ১১ মে (মঙ্গলবার) দিন শেষে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৪২৫ কোটি ডলার।
গত ৩ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ প্রথমবারের মতো ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬৭ কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলার। এর মধ্যে সিংহভাগ রেমিট্যান্স আসে ১০টি দেশ থেকে। গত ১০ মাসে মোট আহরিত রেমিট্যান্সের প্রায় ৮৯ শতাংশই পাঠিয়েছেন এসব দেশের প্রবাসীরা।
দেশগুলো হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ওমান, কাতার, ইতালি ও সিঙ্গাপুর। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইতালি থেকে রেমিট্যান্স আসা আগের থেকে কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসাবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ওই সময় ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির আরেকটি কারণ প্রণোদনা। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে সরকার প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা দেওয়া হচ্ছে সুবিধাভোগীদের।
এ ছাড়া ঈদ ও উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি ১ শতাংশ দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। এতে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।
Posted ৮:০৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh