দেশের একাধিক জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে উত্তরাঞ্চলের প্রায় সব জেলায়ই হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। পাশাপাশি থেমে থেমে বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় সড়কে-মহাসড়কে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।

আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রাজারহাটে ৭.০ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ৮.২ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ৮.৪ ডিগ্রি, ডিমলাতেও ৮.৪ ডিগ্রি, বদলগাছীতে ৮.৫ ডিগ্রি, শ্রীমঙ্গলেও ৮.৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৮.৬ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ এলাকায়ই শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আরো দুইদিন পর শৈত্যপ্রবাহের এলাকা কমতে শুরু করবে। তবে শীত থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে পড়ে। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তবে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে পড়ে।

শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারিপুর, রাঙ্গামাটি, ফেনী, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল এবং ভোলা জেলা ও সীতাকুণ্ডু উপজেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যহত থাকতে পারে। এ ছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় ১৩ দশমিক ০, ময়মনসিংহে ১১ দশমিক ২, চট্টগ্রামে ১২ দশমিক ৫, সিলেটে ১১ দশমিক ৯, রাজশাহী ৮ দশমিক ৬, রংপুরে ৯ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দমমিক ০ এবং বরিশালে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী তিন দিনে রাতের তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর কাছাকাছি বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।