বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন যে. যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে সিটিগুলো গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে কোভিড ১৯ মহামারী পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে লড়াই করছে। নিউইয়র্ক সিটি দেশের সবচেয়ে অধিক জনবহুল সিটি হওয়ার কারণে এখানে সমস্যা ছিল অন্যান্য সিটির সমস্যার চেয়ে বহুগুণ বেশি। মহামারীকালে এবং পরবর্তীতেও রাজস্ব আদায় হার ছিল কম এবং এখনো তা মহামারী পূর্ব পর্যায়ে আসেনি।
মহামারীর চাপ মোকাবিলার জন্য প্রদত্ত ফেডারেল প্রনোদনা অনেক আগেই শেষ হয়েছে এবং সিটির ওপর যে আর্থিক চাপ পড়েছে তা সহনীয় পর্যায়ে ছিল না। করোনা মহামারী শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং আবাসনের ওপরও প্রভাব ফেলেছে, যেগুলোর জরুরী সমাধান আবশ্যক। আমরা সিটির কর্মীবাহিনীর সাথে দীর্ঘমেয়াদী শ্রম চুক্তি নিষ্পত্তির করেছি, যার সঙ্গে আর্থিক ব্যয় জড়িত। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমাদেরকে নবাগত ইমিগ্রান্ট ও তাদের পরিবারগুলোর সহায়তায় এগিয়ে আসতে হয়েছে।
মেয়র তার মতামত নিবন্ধে আরো বলেন, ইমিগ্রান্টদের ব্যাপারে নিউইয়র্ক সিটি আগে থেকেই সতর্কতা গ্রহণ করেছিল বলে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক ইমিগ্রান্ট প্রবাহ সত্বেও আমরা সিটির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ইমিগ্রান্টদের জন্য যাকিছু করণীয় তা করেছি। আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং হফঞল পদক্ষেপের ফলে আমরা কোনো সার্ভিসে বড় ধরনের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে, কর্মী ছাঁটাই না করে বা ট্যাক্স বৃদ্ধি না করে বাজেটের ভারসাম্য বজায় রেখেছি।
এর ফলে আমরা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ সাধন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ৮০,০০০ হিউম্যান সার্ভিস কর্মীর জীবনযাত্রার ব্যয়ে সামঞ্জস্য বিধানে সহায়তা করেছি, যাতে তারা নিউইয়র্ক সিটিতে তাদের পরিবার গড়ে তুলতে পারে। আমরা সম্প্রতি কর্মসংস্থানের জন্য পরিসেবা চালু করেছি, যাতে দীর্ঘদিন যাবত পিছিয়ে থাকা কমিউনিটিগুলোর সদস্যদের কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। অনলাইন চাকরি অনুসন্ধান পোর্টাল চালু করেছি, যা চাকরিপ্রার্থীদের সম্ভাব্য নিয়োগকারীদের সাথে যুক্ত করছে।
মেয়র আরো বলেন, আমরা সিটির জননিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছি। আমরা সিটির রাস্তায় ও সাবওয়েতে অতিরিক্ত ১২০০ পুলিশ অফিসার মোতায়েন করে গুলিবিনিময় ও হত্যার মতো ঘটনা হ্রাস করতে ভূমিকা রেখেছি। ২০২৪ সালের মধ্যে আমাদের পুলিশ বাহিনীতে ইউনিফর্ম ছাড়া অফিসারের সংখ্যা বেড়ে ৩৫,০০০ এ দাঁড়াবে, যার ফলে সিটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার হবে বলে আশা করেন তিনি।
Posted ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh