বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। এই দফায় পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার। এর আগে রিজার্ভ এত উচ্চতায় উঠেনি। করোনার কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড় হওয়ায় সেগুলো রিজার্ভে যোগ হচ্ছে। এতে রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। অন্যদিকে আমদানি ব্যয় কমে গেছে। এতে রিজার্ভের ব্যয়ও কমে গেছে।
করোনাকালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বাড়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করেন, এই সময়ে বেশি পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকলে একদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার মান স্থিতিশীল থাকবে। অন্যদিকে বাজারে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জোগান বাড়ানো সহজ হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ৩১ মে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৩৪১ কোটি ডলার। ওই সময়ে এটাই ছিল সবচেয়ে বেশি রিজার্ভ। এর আগে গত বছরের ১৭ মে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ১৯২ কোটি ডলার।
প্রতিমাসে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় বাবদ গড়ে ব্যয় হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার। এ হিসাবে তিন মাসের জন্য প্রয়োজন ১ হাজার ২০০ কোটি থেকে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। সে হিসাবে প্রায় তিনগুণ রিজার্ভ রয়েছে। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ৭ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
করোনার প্রভাবে আমদানি-রফতানি ও রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গেছে। গত বছরের মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে রেমিটেন্স কমেছে ১৪ শতাংশ। গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিলে আমদানি ব্যয় কমেছে ৪৪ শতাংশ এবং গত বছরের মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে রফতানি আয় কমেছে সাড়ে ৬১ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস রেমিটেন্স ও রফতানি আয়। এ দুটি কমার পাশাপাশি আমদানি ব্যয়ও কমেছে। এর মধ্যে করোনার প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ঋণের অর্থ ছাড় শুরু করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার ছাড় করেছে। বিশ্বব্যাংক আরও ১০৫ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে। এগুলো ছাড় হলেও রিজার্ভের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
Posted ৬:০৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh