করোনাকালে ভাড়া পরিশোধ না করার কারণে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ মরাটরিয়ামের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে সুপ্রীম কোর্ট বাইডেন প্রশাসনের পদক্ষেপ বাতিল করলেও দুর্ভোগে পতিত ভাড়াটেদের রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে নিউইয়র্ক স্টেট। গভর্নর ক্যাথি হোকুলের বিশেষ আহ্বানে গত বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের বিশেষ অধিবেশন বসে। বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট সর্বসম্মতক্রম ভাড়াটে উচ্ছেদ না করার মেয়াদ আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করেন।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট ভাড়াটে উচ্ছেদ না করার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ভাড়াটে মেয়ার বৃদ্ধির ফলে লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।  কারণ করোনা মহামারীর কারণে এখন পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ভাড়াটে বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করার পর্যায়ে উনীত হয়নি। তাদের অধিকাংশই ২০২০ সালের মার্চ মাসের পূর্বের আয় সীমায় উন্নীত করতে পারেনি নিজেদের আয়। মরাটরিয়ামের মেয়াদ পুনরায় বৃদ্ধি করা গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণের পর ক্যাথি সি হকুলের জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ ছিল। সুপ্রীম কোর্ট রুলিংয়ে নিউইয়র্ক স্টেটজুড়ে মরাটরিয়ামের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করলেও ভাড়াটের পক্ষে অনেক প্রবক্তা উচ্ছেদের রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাতে গতকাল বুধবার স্টেট আইনসভা আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত মরাটরিয়াম বহাল রাখার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়।

এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে যে ভ্যাকসিনেশন অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করলেও যারা ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন তাদের বিপুল পরিমাণ ভাড়া পরিশোধ করা হয়নি এবং মরাটরিয়াম তুলে নেয়া হলে তাদের উপর যে আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে তা সামলানো তাদের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব হবে না এবং বাড়ি মালিকরা আদালতের আশ্রয় নিলে ভাড়াটেদের উচ্ছেদ হওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না। তখন যে পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটবে তা বর্তমান পরিস্থিতির চেয়েও জটিল আকার ধারণ করবে। বহু ভাড়াটে গৃহহীন হয়ে পড়বে এমন আশংকাও অমূলক নয়। নিউইয়র্ক স্টেটের জন্য ভাড়া পরিশোধ না করার পরিস্থিতি সবচেয়ে মারাত্মক। কারণ নিউইয়র্ক স্টেটের চেয়ে বেশি ভাড়াটে আর কোন স্টেটে নেই, যার অধিকাংশই নিউইয়র্ক সিটিতে। এক হিসেবে দেখা গেছে যে নিউইয়র্ক সিটির ৭ লাখের অধিক সংখ্যক ভাড়াটে বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি এবং অনেকে আংশিক ভাড়া পরিশোধ করেছেন।