বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
পদত্যাগের চিন্তা করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি যে বেতন পান তা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। সে কারণে পদত্যাগের চিন্তা করছেন বলে ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন বরিস জনসন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সহসাই তিনি এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বছরে এক লাখ ৫০ হাজার চারশ দুই পাউন্ড বেতন পান বরিস জনসন। যা বাংলাদেশি টাকায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কিন্তু গত বছর জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে তার চেয়ে অনেক বেশি আয় করতেন তিনি। সে কারণেই আবার পুরনো পেশায় ফিরে যাওয়ার চিন্তা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে শুধু খবরের কাগজে লিখেই মাসে প্রায় ২৩ হাজার পাউন্ড রোজগার করতেন বরিস। তা ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েও আলাদা রোজগার ছিল তার। এমনকি একবার এক মাসে তিনি এক লাখ ৬০ পাউন্ড রোজগার করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে রোজগার কম হওয়ায় পদত্যাগ নিয়ে বরিস ভাবনা শুরু করেছেন।
হোয়াইট হল থেকে বলা হচ্ছে, এখনই পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন না বরিস জনসন। ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান তিনি। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি থেকে দেশকে বের করে নিয়ে আসার পরিকল্পনাও রয়েছে। এজন্য কমপক্ষে আরো ছয়মাস অপেক্ষা করতে চান।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একজন সাংসদ এ ব্যাপারে জানান, কমপক্ষে ছয় সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব রয়েছে বরিস জনসনের কাঁধে। তাদের পড়াশোনার খরচ দিতে হয় বরিস জনসনকে। এছাড়াও খরচ দিতে হয় সাবেক স্ত্রী মারিনা হুইলারকে। তাই তিনি যে পান ওই বেতনে সব কিছু সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সাংসদদের একাংশের মতে, আসলে থেরেসা মে, ডেভিড ক্যামেরন এবং টোনি ব্লেয়ারদের দেখে হিংসে হচ্ছে বরিসের। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করার পর বক্তৃতা পিছু ১০ লাখ পাউন্ড আয় করেন থেরেসা। ডেভিড ক্যামেরন বক্তৃতা পিছু এক লাখ ২০ হাজার পাউন্ড আয় করেন। বক্তৃতা দিয়ে এবং পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে এরই মধ্যে দুই কোটি ২০ লাখ পাউন্ডের সম্পত্তি করে ফেলেছেন টোনি ব্লেয়ার। সূত্র : মেট্রো
Posted ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh