বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২১
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম নৌপ্রধান ক্যাপ্টেন (অবঃ) নুরুল হক আর নেই। তিনি ২৫ জানুয়ারি (সোমবার) রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস এ ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বৎসর।
তিনি ১৯৭২-১৯৭৩ পর্যন্ত নৌপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মৃত্যুতে নিকটাত্মীয় স্বজনসহ নৌবাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যগণ গভীর শোক প্রকাশ করেন। অদ্য বাদ যোহর নৌ সদর দপ্তর মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরহুমের লাশ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বনানীস্থ সামরিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রেজা-উল করিম শাম্মী স্বাক্ষরিক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। ক্যাপ্টেন নুরুল হক তার সুদীর্ঘ চাকরি জীবনে বিভিন্ন জাহাজ/ ঘাঁটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার অফিসার, ডেসট্রয়ার জাহাজে ইঞ্জিনিয়ার অফিসার, ঘাঁটির ইঞ্জিনিয়ার অফিসার এবং ট্রেনিং স্কুলে স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কেবিনেট মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৭২ সালে তৎকালীন পাকিস্তান হতে প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশের প্রথম নৌবাহিনী প্রধান হিসেবে ১৯৭২ সালের ৭ই এপ্রিল হতে ৬ নভেম্বর ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ক্যাপ্টেন নুরুল হক বৃটেনের রয়েল নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স এবং ১৯৬১ সালে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং স্পেশালাইজেশন কোর্স সম্পন্ন করেন।
ক্যাপ্টেন নুরুল হক ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১২ই জানুয়ারি ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১লা মে ১৯৫৩ সালে কোয়েটায় প্রি-ক্যাডেট ট্রেনিং স্কুলে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে অক্টোবর ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান নেভি ক্যাডেট ট্রেনিং স্কুলে যোগ দেন। তিনি ১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে বৃটেনের ব্রিটানিয়া রয়েল নেভাল কলেজ, ডর্থ মাউথ এ অবস্থিত ‘ট্রাম্প’ এবং ‘ঈগল’ জাহাজ হতে পেশাগত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। ক্যাপ্টেন নুরুল হক ১লা জানুয়ারি ১৯৫৭ সালে বৃটেন থেকে কমিশন লাভ করেন।
Posted ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh