বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি ২০২১
মাদক আইনের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিচার শুরু হয়েছে। ১২ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
এর মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। একইসঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এদিন সকালে কারাগার থেকে আসামি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করেন।
গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ফার্মগেট এলাকার পাপিয়া দম্পতির দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেকের পাতা, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র্যাব। বিদেশি মদ জব্দের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা দায়ের করা হয়।
গত ১২ অক্টোবর শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
এদিকে, নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলায় গত বছরের ১২ অক্টোবর ২০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ। এছাড়া অস্ত্র আইনের আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার কারাদণ্ড একই সঙ্গে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক।
Posted ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh