বাংলাদেশ অনলাইন : | সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। জারি করা হয়েছে এক বছরের জরুরি অবস্থা। আটক করা হয়েছে দেশটির নেত্রী অং সাং সু চি ও প্রেসিডেন্ট ওয়েন্ট মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের। এই ঘটনার পরপরই দেশটির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) জানিয়েছে, তাদের নেতা অং সান সু চি এই সামরিক অভ্যুত্থান না মানতে এবং বিক্ষোভ করতে জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে। খবর সিএনএ’র।
সু চির নাম ব্যবহার করে এনএলডি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর এই পদক্ষেপ দেশকে আবারও স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে। আমি মানুষজনকে এটা গ্রহণ না করতে আহ্বান জানাই। পুরো হৃদয় থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানাই।
অং সান সু চি’র ফেসবুক পেজ থেকে ওই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনী পদক্ষেপ অন্যায় এবং এটা সংবিধান ও ভোটারদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। তবে কে এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে তা স্পষ্ট নয়। কেননা এনএলডির নেতারা ফোন কল ধরছেন না।
মিয়ানমারে গত বছরের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং ক্ষমতাসীন দলের এনএলডি’র প্রধান অং সান সু চিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর দেশটিতে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন টেলিভিশনে এক ভিডিও বার্তা এ কথা জানানো হয়েছে। জরুরি অবস্থা জারির পর দেশের পুরো ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইংয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিবিসির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সংবাদদাতা জনাথান হেড তার বিশ্লেষণে বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে তারা একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে যা ১৯৬২ সালের পর বেসামরিক কোনো সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম। এটি সংবিধানেরও লঙ্ঘন। সবশেষ গত শনিবারই সংবিধান মেনে চলার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছিল সামরিক বাহিনী।
সরকার আর সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণটিও বেশ পরিষ্কার। আর তা হচ্ছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত ইউএসডিপি পার্টি গত নভেম্বরের নির্বাচনে খুবই খারাপ ফল করেছে। অন্যদিকে এনএলডি ২০১৫ সালের নির্বাচনের তুলনায়ও আরো ভাল করেছে।
নির্বাচনের পর সোমবার পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার কথা ছিল। এই অধিবেশনে পরবর্তী সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে মূলত নির্বাচনের ফলকেই অনুমোদন দিতো। তবে অভ্যুত্থানের কারণে সেটিও আর হচ্ছে না।
Posted ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh