বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে (লাইফ সাপোর্ট) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৫ এপ্রিল থেকে চিকিৎসাধীন আছেন এই কবি। ২৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, পাকস্থলীর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন হাবীবুল্লাহ সিরাজী। গত ২৫ তারিখ থেকে স্পেশালাইজড হাসপাতালে আছেন তিনি। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। আজকে তার অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়েছে কি-না এখনও জানতে পারিনি।

বাংলা একাডেমি সূত্র জানায়, বেশ কয়েক দিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। একুশে বইমেলা চলাকালীন এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে যান। গত ২৬ এপ্রিল অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর তিন বছরের জন্য বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় হাবীবুল্লাহ সিরাজীকে। বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, হাবীবুল্লাহ সিরাজী ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।

হাবীবুল্লাহ সিরাজীর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে কবিতাগ্রন্থ- দাও বৃক্ষ দাও দিন, মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি, হাওয়া কলে জোড়াগাড়ি, নোনা জলে বুনো সংসার, কবিতাসমগ্র ইত্যাদি। উপন্যাস- কৃষ্ণপক্ষে অগ্নিকাণ্ড, পরাজয়। অনুবাদ- মৌলানার মন : রুমীর কবিতা। আত্মজৈবনিক- আমার কুমার।

হাবীবুল্লাহ সিরাজী ২০১৬ সালে একুশে পদক, ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০০৭ বিষ্ণু দে পুরস্কার, ২০১০ সালে রূপসী বাংলা পুরস্কার, ২০১০ সালে কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৭ সালে যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার ও ১৯৮৯ সালে আলাওল সাহিত্য পুরস্কার পান।