বাংলাদেশ ডেস্ক | মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০২৪
সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে আরাফাত আমিন তমাল নামের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের সকল শিক্ষার্থী আন্দোলন করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনশৃক্সক্ষলা বাহিনী কাজ করছে। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন আইটেম ক্লাস চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ডা. রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি ডা. রায়হান শরিফ কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়া স্বত্ত্বেও তার নিজস্ব ক্ষমতা দেখিয়ে ফরেনসিক বিভাগে ক্লাস নিয়ে থাকেন। ক্লাস চলাকালীন সময় ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন।
গত সোমবার বিকালে ক্লাস চলাকালীন সময়ে দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১৩টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ক্লাসের সময় শিক্ষক ৮ম ব্যাচের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে। তার চিৎকারে সবাই এগিয়ে এলে ডা. রায়হান শরিফকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
আহত অবস্থায় তমালকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভাইভা চলাকালীন ৪৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে শিক্ষক রায়হান শরিফ তমালের ডান পায়ে গুলি করেন। ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে তমালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলহাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই শিক্ষক প্রতিদিন ক্লাসে পিস্তল নিয়ে আসতেন। বিকাল ৫টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিতে আহত হন শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
Posted ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh