বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইস হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর তদন্তের স্বার্থে দেশটির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডে জোসেফ ফেলিক্স বাদিও নামে একজন জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। জোসেফের সাথে প্রধানমন্ত্রী হেনরির যোগাযোগের বিষয়ে তাকে ব্যাখ্যাও দিতে বলা হয়েছে আদালতের নির্দেশনায়। প্রসিকিউটররা বলছেন, ফোন রেকর্ড থেকে দেখা যাচ্ছে হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী ও জোসেফের মধ্যে টেলিফোনে কয়েক দফা কথা হয়। গত ৭ জুলাই হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে নিজ বাড়িতে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইস।
প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডে হাইতির রাজনৈতিক সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করে। গত ১৩ সেপ্টেম্বরই প্রধানমন্ত্রী হেনরি এক চিঠিতে দেশটির চিফ প্রসিকিউটর বেড-ফোর্ড ক্লডকে চাকরিচ্যুত করার কথা জানান। ক্লডের পরিবর্তে নতুন আরেকজনকে মনোনয়নও দেন হেনরি। কিন্তু মঙ্গলবারও দেখা যায় আগের পদেই বহাল রয়েছেন ক্লড এবং প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করে বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।
হাইতির আইন-কানুন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল একটি সূত্র বলছে, চিফ প্রসিকিউটরকে চাকরিচ্যুত করার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই। এদিকে ক্লডকে নানাভাবে হুমকি দেওয়ার পর দেশটির বিচারমন্ত্রী তার সুরক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের আদেশ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন বাদিওর ভৌগোলিক অবস্থানের ডেটা থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি যখন কথা বলছিলেন তখন তিনি প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছেই ছিলেন। তবে এখন তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ তাকে খুঁজছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বিষয়টি তিনি মানুষের দৃষ্টি সরানোর কৌশল বলে অভিহিত করেছেন।
তবে আগে তিনি দেশটির গণমাধ্যমে বলেছিলেন, তিনি বাদিওকে চিনতেন এবং বাদিও এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।
হাইতির পুলিশ বলছে, প্রেসিডেন্ট হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ৪৪ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন কলম্বিয়ান সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য। খবর : বিবিসি
Posted ১:৩২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh