বাংলাদেশ অনলাইন : | সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
আন্দোলনকারীদের দমন করতে পুলিশকে আরও ক্ষমতা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য সরকার। এ লক্ষ্যে আইন সংস্কারের চিন্তা করছে ব্রিটিশ সরকার। সম্প্রতি আন্দোলনকারীদের রাস্তা আটকানো ও ধীরগতির পদযাত্রা লক্ষ্য করে এমনটা চিন্তা করছে যুক্তরাজ্য প্রশাসন। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়। ১৬ জানুয়ারি (সোমবার) এ সংক্রান্ত পাবলিক অর্ডার বিলের সংশোধনী উত্থাপন করা হবে। এতে গুরুতর বিচ্যুতির সংজ্ঞা আরও বিস্তৃত করা হবে। এর মাধ্যমে পুলিশকে বিভিন্ন বিক্ষোভ দমনে আরও ক্ষমতা প্রদান করা হবে এবং কখন বিক্ষোভ দমনে পুলিশ হস্তক্ষেপ করত পারবে সে ব্যাপারে পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যে বিক্ষোভকারীদের গেরিলা কায়দায় বিক্ষোভ প্রদর্শন প্রতিহত করতে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। রোববার রাতে এক বিবৃতিতে ঋষি সুনাক বলেন, বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারার অধিকার আমাদের গণতন্ত্রের একটি মৌলিক নীতিমালা। তবে এটি কখনোই সীমাহীন নয়। তিনি বলেন, আমরা কখনোই একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত বিক্ষোভের কারণে সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে দিতে পারি না। এটা গ্রহণযোগ্য নয় এবং আমরা এটির শেষ দেখতে চাই।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের পর এমন সিদ্ধান্ত নিতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে ব্রিটিশ সরকার। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনকে লক্ষ্য করে সরকারকে আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করতে সড়ক অবরোধ করে, তা নিয়েই অনেকটা চিন্তিত সরকার। প্রস্তাবিত নতুন সংশোধন অনুযায়ী কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ শুরুর আগেই তা থামিয়ে দিতে পারবে পুলিশ। এছাড়াও পৃথকভাবে বিক্ষোভ সামলানোর পরিবর্তে ধারাবাহিক বিক্ষোভের সম্পূর্ণ প্রভাব বিবেচনা করার অনুমতি দেওয়া হবে।
বর্তমানে আইনের সংশোধনটি সংসদে আলোচনার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। তবে অধিকারবাদী সংগঠনগুলো এ আইনের প্রবল সমালোচনা করে বলছে- এটি পুলিশকে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান করবে। নতুন সংশোধনীর আলোকে কোনো বিক্ষোভকারী কোনো সম্পদ অথবা ভবন অথবা নিজেদের অবরুদ্ধ করলে তা ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এছাড়াও মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটানোর আশঙ্কা থাকলে আদালত বিক্ষোভকারীদের অধিকার সীমিত করতে পারবে।
Posted ১২:১০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh