বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
সৌদি আরবে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। আগামীকাল বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আল্লাহর নামে পুশ কুরবানি। এই পুশ কোরবানী দেয়া হয় আল্লাহর সন্তুষ্ঠির জন্য। সামর্থ্যবান মুসলিমরা এই কোরবানী দিয়ে থাকে। কুরবানির পর জবাই করা পুশর গোশত বন্টন করতে গরীব ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে।
জানা যায়, সারাদেশে ত্যাগের মহিমায় চিরভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে সোমবার (১৭ জুন)। ঈদের জামাত আদায় করে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন কুরবানির জন্য। সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কুরবানি ওয়াজিব। এটি ইসলামের মৌলিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ ও তার রাসূলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কুরবানিতে। নবীজীকে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন- আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কুরবানি আদায় করুন। (সুরা কাওসার:২)
অন্য আয়াতে এসেছে- (হে রাসূল!) আপনি বলুন, আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ রাব্বুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত। (সুরা আনআম : ১৬২)
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরবানি করা পশুর মাংস ভাগ করার একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানির পশুর গোশত ভাগ করার নিয়মও বলে দিয়েছেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে কুরবানির মাংস খাওয়ানো যাবে কি?
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানির গোশত একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরীব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ গরিব-মিসকিনদের দিতেন।
এছাড়া ইবন মাসঊদ (রা.) কুরবানীর গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকির-মিসকিনকে দিতেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
কুরবানির মাংস আত্মীয় ও গরিবদের মাঝে বিতরণ না করাটা খুবই গর্হিত কাজ। এতে কৃপণতা প্রকাশ পায়। কারণ কুরবানির মাধ্যমে কুরবানিদাতা অহংকার থেকে নিরাপদ থাকেন এবং তার অন্তর পরিশুদ্ধ থাকে।
আল্লাহ তাআলাও এটাই চান, বলেছেনও তাই- (মনে রেখো, কুরবানির জন্তুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনই পৌঁছে না, বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। (সূরা হজ : ৩৭)
Posted ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh