বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
এ কে খন্দকার বীর উত্তম। ছবি : সংগৃহীত
বিজয়ের মাসে চলে গেলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান বীর সেনানী এ কে খন্দকার বীর উত্তম। ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বার্ধক্যের কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ) এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম প্রধান ছিলেন। সাবেক এই এয়ার ভাইস মার্শাল পরে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দুই দফায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এ কে খন্দকারের জন্ম ১৯৩০ সালে বাবার কর্মস্থল রংপুরে। তাঁর আদি নিবাস পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা গ্রামে। ১৯৪৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন ও ১৯৪৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন তিনি। ১৯৫২ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং ডেপুটি চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন।
মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত আগে তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক মুহূর্তে মুক্তিবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমানবাহিনী প্রধান নিযুক্ত হন এবং তাঁর নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিমানবাহিনী পুনর্গঠিত হয়। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিমানবাহিনীর প্রধান ছিলেন।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখার জন্য এ কে খন্দকার ১৯৭৩ সালে ‘বীর উত্তম’ খেতাব এবং ২০১১ সালে স্বাধীনতা স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। তিনি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।
এইচ এম এরশাদের সরকারে প্রথম মন্ত্রী হয়েছিলেন এ কে খন্দকার। পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হওয়ার পর পুনরায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এ কে খন্দকারের লেখা ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের আলোচিত একটি গ্রন্থ।
Posted ৩:১২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh