বাংলাদেশ ডেস্ক | শনিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
‘অনৈসলামিক নিকাহ’ মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। শনিবার সিনিয়র সিভিল জর্জ কুদরাতুল্লাহ আদিয়ালা কারাকার চত্বরে এই রায় ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের মধ্যে আরো দুটি মামলায় ইমরান খানকে মোট ২৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নিকাহ মামলায় ইমরান ও বুশরার প্রত্যেককে পাঁচ লাখ রুপি করে জরিমানাও করা হয়। রায় ঘোষণার সময় ইমরান ও বুশরা উভয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বুশরা বিবিকে রায় ঘোষণার আগে দম্পতির বনিগালা বাসভবন থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে সাইফার মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওই সময় তাদের বাসভবনকে সাব-জেল ঘোষণা করে বুশরা বিবিকে সেখানে রাখা হয়।
বুশরা বিবিরি সাবেক স্বামী খাওয়ার মনেকার আবেদনের প্রেক্ষাপটে এই মামলাটি হয়। তিনি ইমরান খানের সাথে বুশরার বিয়েকে ‘অনৈসলামিক ও অবৈধ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
মনেকা অভিযোগ করেন, বুশরা তাদের বিচ্ছেদের পর ইদ্দতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইমরান খানকে বিয়ে করেছিলেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ইমরান খান তার পুরো জীবনকে ধ্বংস করেছেন।
চলতি সপ্তাহে আরো দুটি মামলায় ইমরান খানকে ১০ বছর (সাইফার মামলা) ও ১৪ বছর (তোশাখানা মামলা) কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আদালতের রায়ের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরা্ন খান সাংবাদিকদের বলেন, তাকে ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ‘অপদস্থ এবং অপমান’ করার জন্য এই মামলাটি সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এই মামলাটির মাধ্যমে ইদ্দতের সাথে সম্পর্কিত মামলার ইতিহাস সৃষ্টি শুরু হলো।
তিনি বলেন, আর তোশাখানা মামলায় এই প্রথম কাউকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হলো।
সূত্র : ডন, দি নিউজ এবং অন্যান্য।
Posted ৮:২৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh