বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কায় ধুঁকছে এশিয়া। দিনে দিনে বাড়ছে এলাকাভিত্তিক ছোট ছোট লকডাউন। আবারও ফিরছে কড়াকড়ি। বাধ্যবাধকতা আনা হচ্ছে মাস্ক পরার ওপর। বন্ধ হচ্ছে বার-পাব-রেস্তোরাঁ। করোনার উৎসস্থল চীনে প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
২৬ জুলাই, রোববার দেশটির মূল ভূখণ্ডে ৬১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের বরাতে সোমবার রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন ৬১ জনের মধ্যে ৫৭ জনের সংক্রমণ স্থানীয়ভাবে ঘটেছে। তাদের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ৪১ জন ও উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশে ১৪ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
লিয়াওনিংয়ে টানা পঞ্চম দিনের মতো নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটল। উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আরেক প্রদেশ জিলিনে নতুন করে দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ৬ মার্চ চীনে ৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছিল। তারপর থেকে শনিবার ৪৬ জন শনাক্তের একদিন পর রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ল। সংক্রমণের হার আবার বেড়ে যাওয়ায় বুধবার থেকে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করছে হংকং সরকার।
অঞ্চলটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম জানিয়েছেন, প্রকাশ্য স্থানে চারজনের বেশি মানুষের একসঙ্গে হওয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এর আগে ৫০ জনের বেশি মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ ছিল। সব রেস্টুরেন্টে বিকাল ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কেবল বাইরে নিয়ে খাওয়ার জন্য খাবার অর্ডার করা যাবে। আর রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রতি টেবিলে সর্বোচ্চ চারজন পর্যন্ত বসা যাবে। গণপরিবহনে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ব্যায়ামাগার এবং গেমিং সেন্টারগুলো আবার এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে ৬ সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়েছে। দেশটির দুটি রাজ্য- ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলস ছাড়া বাকি সব রাজ্য করোনামুক্ত। অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার মাইকেল কিড বলেন, করোনার ট্র্যাজেডি আমরাও দেখেছি। এখন নতুন করে আবারও কিছু কিছু রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে জাপানে নতুন করে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত বেড়েছে। গত ১৭ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ৬ শতাধিক আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানী টোকিওতেই ২৮৬ জন।
ভিয়েতনামে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং সামাজিক সংক্রমণ এড়াতে ডানাং শহর থেকে ৮০ হাজার স্থানীয় পর্যটকদের সরিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ভিয়েতনামের ডানাং শহরে রোববার তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। গত এপ্রিলের পর দেশটিতেই এটিই প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের ঘটনা।
এর কারণে কমপক্ষে ৮০ হাজার পর্যটককে শহর ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে নতুন করে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভিয়েতনাম সরকার বলছে, বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে করে ওই শহর থেকে বাসিন্দাদের খালি করতে মোটামুটি চারদিন সময় লাগবে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ওই রোগী গত এক মাস ধরে নিজ জেলায় বাড়িতে রয়েছেন এবং শহরের বাইরে ভ্রমণ করেননি। করোনা মোকাবেলায় সফল দেশগুলোর অন্যতম ছিল ভিয়েতনাম। কিন্তু ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা সেই সফলতাকে ভেস্তে দিয়েছে।
Posted ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh