বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | শনিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২১
করোনাভাইরাসের মহামারীর আবর্তে বিলীন হলো আরো একটি বছর ২০২০। নতুন বছর মানেই বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়া। প্রতি বছর জাঁকালো আয়োজনে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হলেও কোভিড-১৯ মহামারী অন্য সবকিছুর সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনেও পরিবর্তন এনেছিল। বিশ্বজুড়ে অনেক দেশেই কারফিউর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বছর ২০২১। খবর বিবিসি।
নতুন করে সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশির ভাগ দেশ নববর্ষ উদযাপনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। সিডনি থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত আতশবাজি প্রদর্শন এবং অন্যান্য জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নতুন সংক্রমণের আশঙ্কায় ইউরোপজুড়ে উৎসবগুলো কার্যত নিঃশব্দ হয়ে উঠেছিল।
ফ্রান্সে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে কারফিউ শুরু হওয়ার পর শহরজুড়ে এক লাখ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। প্যারিসে মেট্রোর অর্ধেক লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। করোনা ও নববর্ষ উদযাপন রোধে দেয়া ডাবল লকডাউনে দেশটির বার, রেস্তোরাঁ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো নতুন বছরেও বন্ধ রয়েছে।
করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ছড়িয়ে পড়া ইংল্যান্ডে দুই কোটি মানুষ ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন বছর উদযাপনের দিকে ইঙ্গিত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। নতুন বছরের প্রাক্কালে লন্ডনের সড়কগুলো শান্ত ছিল এবং সেখানে টহলরত পুলিশ লোকদের দ্রুত বাড়িতে ফিরতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। জার্মানি ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত লকডাউনে রয়েছে। দেশটির সরকার আতশবাজি বিক্রি নিষিদ্ধ এবং ভিড় না করতে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ইতালিতে রাত ১০টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছিল এবং বার, রেস্তোরাঁ ও বেশির ভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। নেদারল্যান্ডসও লকডাউনের মধ্যে রয়েছে, যা ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হবে। নতুন বছরের আগের দিন থেকে তুরস্ক চারদিনের লকডাউন শুরু করেছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঙ্গরাজ্য ও শহরে উৎসবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছিল। নিউইয়র্কে হাতেগোনা কিছু লোককে টাইমস স্কয়ারে বিখ্যাত বলের ড্রপ দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। নতুন বছর শুরু করা প্রথম দেশগুলোর একটি অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে আতশবাজি প্রদর্শনের অনুমতি থাকলেও সেগুলো উপভোগ করার জন্য মানুষদের জড়ো হতে দেয়া হয়নি।
এদিকে এশিয়ার মধ্যে চীনের বেইজিংয়ে নববর্ষের আলোকসজ্জা বন্ধ রাখা হয়েছিল। অন্য শহরগুলোতেও উদযাপন সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল। তবে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়া উহানে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে নতুন বছর উদযাপন করেছে। জাপান নতুন বছরের সব ধরনের অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করেছিল। এছাড়া ভারতের বেশ কয়েকটি বড় শহরে রাতে কারফিউ ও অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।
Posted ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh