বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
আহমেত আল্লুস
সিরিয়ান এক সুইডিশ অ্যাক্টিভিস্ট সুইডেনের আদালত থেকে স্টকহোমে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি নেন। কিন্তু শেষমেশ তিনি এসব গ্রন্থ পোড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। খবর : টিআরটি ওয়ার্ল্ডের
আহমেত আল্লুস নামে ওই ব্যক্তি ১৫ জুলাই (শনিবার) সাংবাদিকদের দূতাবাসের সামনে বলেন, পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো উচিৎ নয়- এ বার্তা দিতে তিনি তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি নেন। তিনি বলেছেন, আমি একজন মুসলিম এবং আমি পবিত্র ও ধর্মীয় বই পোড়াতে পারি না। এ সময় আহমেত ব্যাখ্যা করেন যে তার উদ্দেশ্য ছিল নর্ডিক দেশে যারা কোরআনের মতো পবিত্র বই পুড়িয়ে দেয় তাদের নিন্দা করা।
পুলিশি নিরাপত্তায় সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রসঙ্গে আহমেত বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং জাতিগোষ্ঠীকে অপমান করার মধ্যে পার্থক্য আছে। কোরআন ও ধর্মীয় বই পোড়ানোকে বিদ্বেষমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিৎ। তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি নেওয়ার মাধ্যমে আমি এটা বোঝাতে চেয়েছি। এসব গ্রন্থ পোড়ানো কোনো ইচ্ছা আমার নেই।
আহমেত বলেন, আমি দেখাতে চাই যে আমাদের একে অপরকে সম্মান করতে হবে, আমরা একই সমাজে বাস করি। আমি যদি তোরাহ ও বাইবেল পুড়িয়ে এবং কোরআন তাহলে যুদ্ধ হবে এখানে। আমি শুধু দেখাতে চেয়েছি এসব করা ঠিক না।
গত ২৮ জুন ঈদের দিনে সুইডেনের স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম দেশগুলো সুইডেনের ওপর ব্যাপকভাবে ফুঁসে উঠে। এর মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
শেষমেশ বাধ্য হয়ে স্বয়ং সুইডেন সরকার কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে। দেশটি একে ইসলামবিদ্বেষ বা মুসলিম-বিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে উল্লেখ করে।
Posted ১২:১৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh