বাংলাদেশ অনলাইন | শনিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৪
দক্ষিণ আফ্রিকা বিলাসবহুল ট্রেনের জন্য বিখ্যাত। সেখানে ট্রেনে ভ্রমণ করে আসা লোকজন পরবর্তী সময়ে স্মৃতিকাতর হতে বাধ্য হন। পাহাড়, নদী, সাগর, সমতল, বন্যপ্রাণী– সব ধরনের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ পান ভ্রমণকারীরা। তবে একটি বিশেষ ট্রেন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে বছরের পর বছর। কিন্তু এটিতে ওঠার আগ্রহে কারও কমতি নেই। বিলাসবহুল এ ট্রেনের নাম ক্রুজার শালাতি।
দেখতে ট্রেনের মতো হলেও এটি আদতে একটি হোটেল। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুজার জাতীয় উদ্যানের স্কুকুজার এলাকায় সেতুর ওপর এটি নির্মিত। ট্রেনের বেশ কিছু বগি যুক্ত করে হোটেলটি গড়ে তোলা হয়েছে। আধুনিক প্রায় সব ধরনের সুবিধা আছে এতে। আছে ব্যালকনিও। সেখান থেকে দেখা যায় সাবি নদীর প্রবাহ– মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সামনে সুইমিং পুলও আছে। হোটেলটি থেকে বিস্তীর্ণ পাহাড়ি অঞ্চলের দৃশ্য চোখে ধরা পড়ে; দেখা মেলে আফ্রিকার সিংহ, চিতাবাঘ, হাতি, গন্ডার ও বন মহিষের।
হোটেলের মালিক মটসামায়ি পর্যটন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেরি ম্যাবেনা। তিনি জানান, একসময় এ রেললাইনে ট্রেন চলাচল করত। ১৯৭০-এর দশকে কিছু দূর নতুন রেললাইন তৈরি হলে এটি অচল হয়ে পড়ে। ২০১৬ সালে তারা রেললাইনটিকে পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। এ থেকেই ট্রেনে হোটেল নির্মাণে উদ্যোগী হন। ২০২০ সালে হোটেলটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
ট্রেনের বগিতে গড়ে তোলা বিশাল কক্ষে থাকতে হলে বড় অঙ্কের অর্থ গুনতে হয় পর্যটকদের। দুই বা তিনজনের একটি কক্ষের প্রতিরাতের ভাড়া শুরু হয় ৫৩০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৮ হাজার টাকার বেশি) থেকে। তবে কয়েক দিন থাকলে ছাড় আছে।
Posted ৯:২৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh