বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২২
মাত্রাতিরিক্ত অভিবাসী আসার কারণে সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস। গত এপ্রিল থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি অভিবাসী দক্ষিণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে শহরে ঢুকেছেন, এমন বাস্তবতায় তিনি জরুরি অবস্থা জারি করলেন। খবর : সিএনএনের।
গত ৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডামস বলেন- সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয়টি বাস শহরে প্রবেশ করছে। শহরের আশ্রয় ব্যবস্থায় প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন এখন আশ্রয়প্রার্থী। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে। যারা আসছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে শিশুরা রয়েছে। সেসব পরিবারের চিকিৎসার পাশাপাশি বাড়তি যত্নের প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। টেক্সাস, অ্যারিজোনা ও ফ্লোরিডার মতো রিপাবলিকান নেতৃত্বের রাজ্যগুলো সাম্প্র্রতিক সময়ে ডেমোক্রেটিক এলাকায় অভিবাসীদের পাঠাচ্ছে। এতে শহরটির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।
আদেশের অংশ হিসেবে মেয়র সব সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সহায়তা দেওয়ার জন্য মানবিক ত্রাণকেন্দ্র নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। মেয়র বলেন, নিউইয়র্ক এই অর্থবছরে আরও ১০০ কোটি ডলার খরচ করবে। তিনি সরকারের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই সংকট ‘আমাদের শহরের বাজেটের জন্য বড় বোঝা’। সীমান্ত-সংলগ্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের চাপে রয়েছে নিউইয়র্ক ও অন্যান্য শহর। এসব শরণার্থীর অনেকেই ভেনেজুয়েলা ও লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশে সহিংসতার কারণে পালিয়ে এসেছেন। মেক্সিকো সীমান্তে তাঁরা জড়ো হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অ্যাডামস এটিকে সংকটময় পরিস্থিতি বলছেন। ১৯৮০ সালের আইনের অধীনে নিউইয়র্কে যাঁর প্রয়োজন, তাঁর আবাসনের ব্যবস্থা করা বাধ্যতামূলক। এতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্র মানবিক কর্মসূচির আওতায় দীর্ঘদিন ধরেই শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
Posted ৩:১২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh