২০২৪ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে রাশিয়ান খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের অনুমতি পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদকে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর কাছেও এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।

জেলেনস্কি আরও বলেন, অলিম্পিকের মঞ্চকে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে মস্কোকে সুযোগ দেওয়া উচিত না। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানায়, রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়রা নিরপেক্ষ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। অন্যদিকে, রুশ ও বেলারুশিয়ান খেলোয়াড়রা অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করলে তা বয়কট করার হুমকি দিয়েছে ইউক্রেন।

জেলেনস্কি বলেন, অলিম্পিকে রুশ খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার মানে হলো বিশ্বকে বলা যে সন্ত্রাসবাদ কোনো না কোনো ক্ষেত্রে গ্রহণীয় পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, অলিম্পিক বা অন্য কোনো খেলার মঞ্চকে রুশ আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের প্রপাগান্ডা ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে মস্কোকে সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।

চলতি সপ্তাহে আইওসি জানায়, রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়রা ‘নিরপেক্ষ খেলোয়াড়’ (যে খেলোয়াড়রা নিজ জাতি বা দেশের প্রতিনিধিত্ব না করে স্বতন্ত্র চরিত্র বজায় রেখে আয়োজনে অংশগ্রহণ করে) হিসেবে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সংস্থাটি আরও জানায়, শুধু পাসপোর্টের কারণে কোনো খেলোয়াড়কে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা উচিত নয়।

তবে জেলেনস্কি বলেন, যখন ইউক্রেনের খেলোয়াড়রা যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর সম্মুখীন হচ্ছে, তখন সেখানে নিরপেক্ষতা বলতে কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়। এ সময় তিনি ১৯৩৬ সালে হিটলারের ক্ষমতাসীন জার্মানিতে অলিম্পিক আয়োজনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, এটি অলিম্পিকের ইতিহাসে একটি বড় ভুল। অলিম্পিক আয়োজন এবং সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের পথ কখনো একসঙ্গে মিলিত হতে পারে না।

আইওসির এমন পরিকল্পনা সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্যও। দেশটি বলছে, নিরপেক্ষ হিসেবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ মানে হলো যুদ্ধের সত্যিকারের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্বকে দূরে ঠেলে দেওয়া।