বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | শুক্রবার, ০৩ জুলাই ২০২০
অঘোষিত সফরে ৩ জুলাই (শুক্রবার) সকালে লাদাখ পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে সেনাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করবেন তিনি। এর আগে দেশটির সেনাপ্রধান লাদাখে দুই দিন থেকে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
ডয়চে ভেলে জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রথমে লাদাখের নিমুতে সেনার ফরোয়ার্ড পোস্টে গেছেন। সেখানে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং ইন্দো টিবেটান বর্ডার পোস্ট বা আইটিবিপির জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন। নিমু হলো ১১ হাজার ফিট উঁচুতে যথেষ্ট দুর্গম এলাকা। মোদির সঙ্গে আছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর চিফ অব আর্মি স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এম এম নরবনে।
এই সময়ে মোদির লাদাখ যাওয়া মানে চীনের প্রতিও বার্তা দেওয়া। একদিন আগেই ভারত ও চীনের মধ্যে আবার কোর কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেখানে সেনা সরিয়ে আনা নিয়ে আবার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
তবে সূত্র জানাচ্ছে, সেনা সরানো নিয়ে নীতিগত মতৈক্য বাদ দিয়ে আলোচনা খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। বিশেষ করে চীনের সেনা সরানো নিয়ে ভারতের দাবি মানতে নারাজ বেইজিং। ফলে এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির লাদাখ যাওয়াটা তাৎপর্যপূর্ণ।
সংঘাতের পরিস্থিতি দেখা দিলে ভারত যে তৈরি, সেই বার্তাটা মোদির সফর থেকে পরিস্কার বলে বিশেষজ্ঞদের মত। আর মোদি সবসময়ই চমকপ্রদ পদক্ষেপ নিতে ভালোবাসেন। কোনো ঘোষণা ছাড়া লাদাখ যাওয়াও সেরকমই একটা পদক্ষেপ বলে তারা মনে করছেন।
লাদাখে যাওয়ার কথা ছিল দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর। তিনি ফরোয়ার্ড পোস্টেও যাবেন বলে কথা ছিল। কিন্তু শেষ সময়ে রাজনাথ তার সফর বাতিল করেন। এখন বোঝা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী যাবেন বলেই রাজনাথ তার সফর বাতিল করেছেন।
Posted ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ জুলাই ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh