বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ৩০ মে ২০২১
আজ ৩০ মে (রবিবার) সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিন ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তিনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। এর পর থেকে বিএনপি ও সমমনা দল এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলো দিনটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভাসহ ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ ৩০ মে (রবিবার) ভোরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতাকর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ, সকালে ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা মহানগরীর ৮০টি স্থানে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অসহায়-দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে।
বিএনপির মহাসচিব, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। ২৯ মে শনিবার বিকালে দলের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। এ ছাড়া ১ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডের ওপর বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়।
এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি, তাকে হত্যা করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়। তিনি দেশের জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরূক হয়ে আছেন, থাকবেন।
Posted ৯:০০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩০ মে ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh