বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৪
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে পুড়তে থাকা একটি বগিতে দেখা যায়— বগিটির জানালা দিয়ে দুই হাত আর মাথা বাইরে বের করে আছেন এক ব্যক্তি। আর জানলাটা অর্ধেক খোলা। ভিতরের আগুনের লেলিহান পাশের সব জানালা দিয়েই বেরিয়ে আসছে বাইরের দিকে।
ট্রেনটির যাত্রী নাফিজ আলম (২২) নামে এক যুবক আগুনে সামান্য দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা আছেন। তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার পর আমার সিটের পাশের জানলা দিয়ে বের হতে পারি নাই। তখন পিছনের সিটের জানলা দিয়ে লাফ দেই। বাইরে বের হওয়ার পর দেখি পাশের জানলায় ওই ব্যক্তি। তখন তার হাত ধরে টেনে বাইরে বের করা চেষ্টা করতে থাকি। তখন তার শরীরের নিচের দিকে আগুন ধরে গেছে। কিন্তু ওই লোক বারবার বলছিল, আমার বাচ্চাটা মারা গেছে। আমি আর বাঁচবো না। আমারে বের করতে হইবো না। এদিকে আগুন দ্রুতই বাড়তে থাকে। এরপর আর তাকে বের করা সম্ভব হয় নাই। ভিতরে তার বউ আর বাচ্চা ছিল।’
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার বাকপুড়া গ্রামের মাসুদ আলমের ছেলে নাফিজ আলম। মিরপুরে মনিপুর এলাকায় থাকেন তিনি। ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা শেষ করেছেন তিনি। বর্তমানে ধানমন্ডিতে ‘পিপল এন্টেক’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ বলছে, উদ্ধার হওয়া ৪টি মরদেহের মধ্যে একজন পুরুষ বলে বোঝা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভয়াবহ সেই ভিডিও ফুটেজে দেখা জানলার পাশে আগুনে পুড়তে থাকা ব্যক্তিরই মরদেহ এটি।
Posted ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh