বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ১২ আগস্ট ২০২৩
ইউরোপে পাড়ি জমাতে ভূমধ্যসাগরের বিপজ্জনক রুটের ব্যবহার বেড়েছে দ্বিগুণ। এ পথে দুই হাজারের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত হয়েছে। খবর : দ্য গার্ডিয়ান। মূলত লিবিয়া বা তিউনিসিয়া থেকে গ্রিস বা ইতালি যেতে এ রুটের নাজুক নৌকাগুলোয় চড়ে বসে অতিরিক্ত যাত্রী। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সাত বছরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সংখ্যার মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ।
বর্তমানে ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর রাজনৈতিক এজেন্ডার শীর্ষে রয়েছে অভিবাসী ঠেকানো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সীমান্ত ও উপকূলরক্ষী সংস্থার বরাতে বলা হচ্ছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ে মধ্যে অবৈধ অভিবাসন বেড়েছে ১৩ শতাংশ। যা সংখ্যায় এক লাখ ৭৬ হাজার ১০০ জন। ২০১৬ সালের পর এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা।
তবে মধ্য ভূমধ্যসাগর ব্যবহারের হার বেড়েছে ১১৫ শতাংশ। ইইউ প্রবেশের অন্যান্য রুট বিবেচনায় এটি এখন প্রধান অভিবাসন পথ। সব অভিবাসন প্রচেষ্টার অর্ধেকের বেশি এ রুটেই হয়ে থাকে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্হা তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে দুই হাজার ৯০ জনেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন। তার বেশির ভাগই উল্লেখিত মধ্য ভূমধ্যসাগরে। তবে সব সময় নিখোঁজের তথ্য সংস্থাগুলোর হাতে পৌঁছে এমনও নয়।
লিবিয়া বা তিউনিসিয়া থেকে গ্রীস বা ইতালি যেতে এই রুটে বেশ কয়েক দিন সময় লাগে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ৮৯ হাজারের বেশি মানুষ সফলভাবে এ রুট ব্যবহার করেছেন।
গত সপ্তাহে ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে এক নৌকাডুবিতে অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যাদের তিনজন শিশু। গত জুনে গ্রিসের পশ্চিম উপকূলে ৭৫০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়। যাদের মাত্র ১০৪ জনকে উদ্ধার করা গেছে।
ফ্রন্টেক্সের দাবি তিউনিশিয়া ও লিবিয়া থেকে পাচারে সহায়তাকারীরা কম অর্থের প্রস্তাব দেয়ায় এ পথ ব্যবহার বাড়ছে। আরো জানা যায়, মধ্য ভূমধ্যসাগরে অবৈধ অভিবাসীদের চাপ বাড়লেও ইইউতে অভিবাসীদের অন্য সব প্রধান রুটে প্রবেশ এক বছর আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
Posted ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ আগস্ট ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh