বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
কর্মী সংকটের কারণে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে এমটিএ’র সাবওয়ে ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে সাবওয়ের অনেক ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে এবং যেগুলো চলছে, সেগুলো যাত্রীদের গাদগাদি ভিড়ে চলছে। যদিও দিন ও রাতের পুরো সময়েই সাবওয়ে সার্ভিস চালু হয়েছে, কিন্তু ট্রেনগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী লোকবল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। গত সপ্তাহের বুধবার এমটিএকে সাবওয়ের ১১৪টি নির্ধারিত ট্রিপ বাতিল করতে হয়েছে এবং চলতি জুন মাসের প্রথম ১৮ দিনে লোকবলের অভাবে সাবওয়ে বাতিল করেছে ৫,৩৫৫টি ট্রিপ, যা গতবছরের জুন মাসে বাতিল করা সাবওয়ে ট্রিপের চার গুণের অধিক।
এমটিএ’র মতে, ট্রেন চালানোর জন্য অপারেটর পাওয়া যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, গত বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর লকডাউন করা হলে অন্যান্য সেক্টরের মত সাবওয়ের অপারেটরসহ অন্যান্য কর্মী কর্মচ্যুত হয়ে পড়ে। যখন সীমিত আকারে সাবওয়ে চালু করা হয় তখন সঙ্গত কারণেই সকল কর্মীকে ফিরে আসার জন্য বলা সম্ভব হয়নি। ফলে অনেক সাবওয়ে কর্মী অন্য খাতে কাজ জুটিয়ে নেয়ার কারণে বর্তমানে পুরোদমে সাবওয়ে অপারেট করার প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এমটিএ সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে যে, গত মে মাসে ৮,৭০০ এর বেশি সাবওয়ে ট্রিপ বাতিল করা হয়েছে, যা ট্রিপ বাতিলের সর্বোচ্চ সংখ্যা। কিন্তু করোনা মহামারী পূর্ব সময়ে সাবওয়ের নির্ধারিত মাসিক ২ লাখের অধিক ট্রিপের মধ্যে কর্মী সংকটের কারণে গড়ে ৫০০ ট্রিপ বাতিল করার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমান পরিস্থিতির মত দীর্ঘকালীন সংকটে সাবওয়ে আর কখনো পড়েনি। সেজন্য সবকিছু স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলে মনে করছে এমটিএ কর্তৃপক্ষ। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলে এলে স্টেশনে অপেক্ষা করার সময় ও ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় হ্রাস পাবে।
নিউইয়র্ক পোষ্ট এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী গত বছরের মার্চ মাসে মহামারী শুরু করে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এমটিএ ২,৮০০ এর অধিক কর্মীকে হারিয়েছে, যা এমটিএ’র সাবওয়ে সিস্টেমের উপর প্রচন্ড এক আঘাত হিসেবে এসেছে। এর মধ্যে দেড়শ’র বেশি সাবওয়ে কর্মী করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে এবং বেশ কয়েকশ’ কর্মী অবসরে চলে গে।ে এমটিএ’র মুখপাত্র লিজা ড্যাগলিয়ান বলেছেন, “কাউকে নিয়োগ করেই ট্রেন চালানোর জন্য দায়িত্ব দেয়া যায় না। নিয়োগ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া তো অতিক্রম করতেই হয়। নিয়োগ সম্পন্ন হলেও কন্ডাক্টর বা অপারেটর ট্রেন চালকদের অন্তত ন্যূনতম সময়ের প্রশিক্ষণ নিতে হয়।” তিনি জানান, একজন কন্ডাক্টরের প্রশিক্ষণের অন্তত তিন মাস এবং অপারেটরের প্রশিক্ষণের জন্য আট মাস সময় প্রয়োজন হয়। এই প্রক্রিয়ার বাইরে কোনোভাবে নতুন লোক নিয়োগ করার সুযোগ নেই।
রাইডার্স এলায়েন্সের প্রবক্তা ড্যানি পার্লস্টেইন বলেছেন, সাবওয়ের মূল বিষয়ই হচ্ছে ঘন ঘন ট্রেন চলাচল এবং স্টেশনে অপেক্ষার সময় যাতে বেশি না হয়। কিন্তু এখন যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে সাবওয়েতে যথাসময়ে কোথাও পৌছা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর অবস্থার আশু উন্নয়ন না ঘটলে লোকজন যাতাযাতের অন্য উপায় বেছে নেবে অথবা করোনাকালে যেভাবে বাড়ি থেকে কাজ করেছে সেভাবে বাড়ি থেকে কাজ করাকেই প্রধান্য দেবে।
Posted ১২:০০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh