বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | শুক্রবার, ০৩ জুলাই ২০২০
কোনো ব্যক্তির আয় যদি ৩ লাখ টাকার কম হয়, তাহলে এখন থেকে তার আর কর দিতে হবে না। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথমদিন বা ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। গত ২ জুলাই (বৃহস্পতিবার) এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।
গেজেট অনুযায়ী, ব্যক্তিশ্রেণির জন্য ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর কর হার শূন্য থাকবে। পরবর্তী এক লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ, এর পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং তার বেশি টাকা আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা।
পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তানের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকার বেশি রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা-মাতা উভয়েই করদাতা হলে যেকোনো একজন এ সুবিধা পাবেন বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
তখন তিনি বলেছিলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে করমুক্ত আয়সীমা, করহার এবং করের ধাপ অপরিবর্তিত। কিন্তু বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির কারণে করদাতার প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত থাকায় প্রকৃতপক্ষে করদাতরা কর প্রদানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না।
‘করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে করদাতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে কোম্পানি ও স্থায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির করদাতা বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বৃদ্ধি এবং করহার হ্রাসের প্রস্তাব করছি।’
Posted ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ জুলাই ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh