ভারতের উত্তরাখণ্ড সীমান্তের আউলি এলাকায় ১৮তম যৌথ সামরিক মহড়া দিচ্ছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। এতে আপত্তি জানিয়েছে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। তবে বেইজিংয়ের আপত্তির এক হাত দেখে নিয়েছে ওয়াশিংটন। গত ২ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এলিজাবেথ জোনস এসব কথা বলেন। খবর এনডিটিভি

বৈঠকে এলিজাবেথ জোনস বলেন, ভারতীয় সহকর্মীদের মাধ্যমে আপনাদের জানাতে চাই যে এটি তাদের (চীন) মাথাব্যথা হওয়ার মতো কোনো বিষয় নয়।

বর্তমানে উত্তরাখণ্ড সীমান্তে আউলিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১৮তম যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ভারত। মহড়ার স্থানটি চীন-ভারতের মধ্যকার লাইন অব অ্যাকচুয়াল কনট্রোল (এলএসি) রেখা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। সে কারণে এ মহড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বেইজিং। চীন জানায়, চলমান মহড়াটি বেইজিং ও দিল্লির মধ্যকার দুটি সীমান্ত চুক্তির মূল নীতির লঙ্ঘন। তবে এ আপত্তির বিষয়ে কড়া জবাব জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালের সমঝোতা চুক্তির সঙ্গে এ যৌথ সামরিক মহড়ার সম্পর্ক নেই। উল্টো চীন এ চুক্তিগুলোর লঙ্ঘন করছে কিনা তা নিয়ে ভাবার জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ১৯৯৩ সালে সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সংলগ্ন এলাকায় শান্তি বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।