বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
জর্ডানের রামথা শহরে প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে একটি কারখানায় বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন ও ধর্মঘট করছেন। জর্ডানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান জানিয়েছেন, শহরটির আল হাসান শিল্প এলাকায় অবস্থিত ক্লাসিক ফ্যাশন অ্যাপারেলে এই আন্দোলন চলার সময় কিছু ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে। খবর বিবিসির।
শ্রমিকদের অভিযোগ, এখন তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে। জর্ডানে বাংলাদেশ থেকে পুরুষ শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ কম। কারণ তাদের বিরুদ্ধে এর আগে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এ ছাড়া একটি ডাস্টবিনে এক বাংলাদেশি নারী অভিবাসীর মরদেহ পাওয়া গেছে, যা নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পোশাক শ্রমিকরা তাকে নিজেদের একজন দাবি করে এ নিয়ে ক্ষোভ এবং আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন।
আম্মানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি আটক হননি। তবে ঘটনা সামাল দিতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। দেশটির সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান এই ক্লাসিক ফ্যাশন অ্যাপারেল। কারখানার শ্রমিকদের বেশিরভাগ নেয়া হয়েছে বাংলাদেশ থেকে।
কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, সেখানে ৩০ হাজারের মতো শ্রমিক রয়েছে। দেশটিতে মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা দেয়, এমন একটি সংস্থা তামকিন ফর লিগ্যাল এইড অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস বলছে, এই শ্রমিকদের অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি নারী শ্রমিক। তাবাসের তথ্যমতে, জর্ডানে আনুমানিক ৭০ হাজারের মতো বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে, যার অর্ধেকের বেশি পোশাক শ্রমিক।
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলা থেকে যাওয়া এক শ্রমিক বছরখানেক হলো ক্লাসিক ফ্যাশন অ্যাপারেলে মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই শ্রমিক গণমাধ্যমকে জানান, এখানে পোশাক কারখানার ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের বেতন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন না বাড়ানোর কারণে তারা আন্দোলনে গেছেন।
তাদের সঙ্গে আন্দোলনে সব শ্রমিক যোগ দিয়েছে। দুদিন আগে রাত ১১টার দিকে কয়েকটি গাড়িতে করে লোকজন হোস্টেল থেকে একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। আর একটা মেয়ে ব্যাংকে গিয়ে আর ফেরেনি। এ নিয়ে তারা এখন খুব ভয়ের মধ্যে আছেন বলে জানান।
Posted ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh