শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

জাতিসংঘে শেখ হাসিনার ১৭ বার যোগদানের রেকর্ড

বাংলাদেশ প্রতিবেদন :   |   বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাতিসংঘে শেখ হাসিনার ১৭ বার যোগদানের রেকর্ড

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের দীর্ঘমেয়াদী নারী শাসক। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন যোগ দিতে তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌছেছেন। এটি হবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শেখ হাসিনার ১৭তম যোগদান। জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত। পরে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ম্যানহাটনের নির্ধারিত হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে ভাষন দেবেন। তার এবারের অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে মোট ১৭ বার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদান করছেন। করোনা মহামারির কারণে সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে যোগদান করতে পারেননি। জানা গেছে জাতিসংঘে যোগদান শেষে কয়েকদিন তিনি ভার্জিনিয়ায় তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিবারের সাথে কাটাবেন।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর ৪ বার তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদান করছেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর জাতিসংঘে সেটি তার পঞ্চম অংশগ্রহণ হলেও এর আগের মেয়াদে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালে পর পর ৫ বারসহ টানা ১০ বার সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেন শেখ হাসিনা । এছাড়া ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে প্রথম মেয়াদের ৩ বার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন শেখ হাসিনা। উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশের আর কোন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান এতবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদান করেননি। সেদিক থেকে জাতিসংঘে যোগদানে বিশ্বরেকর্ড করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য দেশ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয় ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। এর এক সপ্তাহ পর ২৫ সেপ্টেম্বর, সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৩ সদস্য-রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা ৭৬ তম অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে।


দীর্ঘ এ চার দশকের বেশি সময়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ ছাড়াও প্রর্বতন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি শাসনামলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমান, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সাধারণ পরিষদে। বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতি, সরকার প্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি সবাই মিলে অতীতের৪১টি অধিবেশনের ৩১টিতে যোগদান করেন। পক্ষান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাই ১৪বার প্রতিনিধিত্ব করছেন সাধারণ পরিষদে। প্রতিবছর নিয়মিত অধিবেশন ছাড়াও কয়েক বছর অন্তর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। তখন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ অংশ নিয়ে থাকেন। এছাড়া ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদের কোন দেশেরই রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের প্রতিবছর সাধারণ পরিষদে যোগদানের নজির নেই। খালেদা জিয়া দুই মেয়াদে ১০ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদকালে ১৯৯৩ সালে সাধারণ পরিষদের ৪৮তম অধিবেশনে এবং দ্বিতীয় মেয়াদকাল ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ২০০২ এবং ২০০৫ সালে সাধারণ পরিষদের ৫৭ ও ৬০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার শাসনামলে বাকী তিন বছর সাধারণ পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমান।

২০০৭ এবং ২০০৮ এ এক এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ ২০০৭ ও ২০০৮ সালে সাধারণ পরিষদের ৬২ ও ৬৩তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে অংশ নেন। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ২৩ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার তিন মাসের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৫১তম অধিবেশনে যোগদান করতে নিউইয়র্ক আসেন। সে বছর তার এ যোগদান সাধারণ পরিষদের অনির্ধারিত ছিলো বলে জানা যায়। এরপর তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত সাধারণ পরিষদের আরো দুটি অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ৫২ তম এবং ১৯৯৯ সালে ৫৪ তম অধিবেশনে অংশ নেন।


এ বছর তিনি নিউইয়র্কের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভায় বাংলাদেশী হিন্দুদের দুই নৌকায় পা না রাখার পরামর্শ দিলে দেশ ও প্রবাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম মেয়াদকালে ১৯৯৮ সালে ৫৩ এবং ২০০০ সালে সাধারণ পরিষদের ৫৫ তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৯ এর ৬ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর একই বছর সেপ্টেম্বরে সাধারণ পরিষদের ৬৪তম অধিবেশনে যোগদান করেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে সাংবাৎসরিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একাদিক্রমে পাঁচবার সাধারণ পরিষদে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারী শেখ হাসিনা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সে বছর তার শাসনকালের ৯ মাসের মাথায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্তির চার দশক পূর্তিতে নবম বারের মতো অংশ নেন। একটি দেশের সরকার প্রধান হিসেবে ১৩ বার জাতিসংঘে যোগদান নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ও তার দল আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়। সাধারণ পরিষদের দীর্ঘ ৭৬ বছরের ইতিহাসে ১৯৮৬ সালে ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এরশাদের শাসনামলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। এছাড়া প্রথা মাফিক ফি বছর সাধারণ পরিষদে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


সালাহউদ্দিন আহমেদ : জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত রোববার সকালে তিনি নিউইয়র্কে পৌছান। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা লন্ডন হয়ে নিউইয়র্কে আসেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান জেএফকে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানস্থ ‘হোটেল লাটে প্যালেস’-এ উঠেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বিশ্বনেতারা এবারের ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে জমায়েত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনাংদ্ধার : সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্ব ত্বরান্বিত করতে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরকালীন সময়ে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থানকান করবেন এবং ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের প্রথম দিনের বিতর্কে যোগ দেবেন। তিনি ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ভাষণ দেবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা সভায় যোগ দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, সাধারণ বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন-অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু ও ন্যায়বিচারের মতো বিষয় তুলে ধরবেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি এই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।

এছাড়াও উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ডের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও ও ডেলয়েট আয়োজিত ‘খাদ্যের জন্য চিন্তা খাদ্য সরবরাহ চেইন উদ্ভাবনের জন্য এসডিজিকে ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফাস্ট লেডি জিল বাইডেনের আমন্ত্রনে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে ‘টেকসই উন্নয়নে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য আন্তর্জাতিক গণ অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং দক্ষতা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক উন্নয়ন অর্থায়ন (এফএফডি) বিষয়ে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে একটি উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন।

একই দিনে তিনি মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যামবিশন সামিট, মহামারী প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, নারী নেতৃবৃন্দের জাতিসংঘ প্লাটফর্মের বার্ষিক সভা, ক্লাইমেট অ্যামবিশন সংক্রান্ত উচ্চ পর্য়ায়ের জলবায়ু বিষয় ভিত্তিক সম্মেলনের পাশাপাশি ন্যাশনাল জুরিসডিকশনের বাইরের এলাকার সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য আইনের ওপর জাতিসংঘের কনভেনশনে যোগ দেবেন। তিনি ২১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টের পাশাপাশি ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সৃষ্ট হুমকি মোকাবেলা’ শীর্ষক ব্রেকফাস্ট সামিট এবং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভায় যোগ দেবেন।
সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের জেনোসাইড উপদেষ্টা, নবনির্বাচিত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মহাপরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দফতরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

ঢাকা ত্যাগ : প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ১০টার পর রাজধানী ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগের সময় বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে বিদায় জানান। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি নিউইয়র্ক সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় (নিউইয়র্ক সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তিনি ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) রাত ১০.৪৫ টায় (ওয়াশিংটন সময়) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।

প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে সরকারী সূত্রে জানা গেছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরে স্বাগত সমাবেশ এবং বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

Posted ২:১৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

কাঁঠাল সমাচার
কাঁঠাল সমাচার

(1412 বার পঠিত)

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.