নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস তার প্রশাসন পরিচালনায় সহায়তা করার মধ্য দিয়ে সিটির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে নিউইয়র্কবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি তার সাপ্তাহিক মতামত ব্যক্ত করতে আরো বলেন, প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকে আমাদের সুস্পষ্ট লক্ষ্য ছিল: জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সিটির অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং সিটিকে শ্রমজীবী মানুষের জন্য অধিকতর বাসযোগ্য করে তোলা। সেই লক্ষকে সামনে রেখেই আমরা প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন. করোনা মহামারীর সময় বেসরকারি খাতে যারা চাকুরি হারিয়েছিল, আমরা পুনরুদ্ধার করেছি। এ বছর সিটিতে সামগ্রিকভাবে অপরাধ কমেছে এবং আমরা ৮৩ লাখ নিউইয়র্কবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য আমাদের উদ্যোগ অব্যাগ রেখেছি। মেয়র বলেন, আমি যখন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন সিটির ১০ শতাংশেরও বেশি কৃষ্ণাঙ্গ ভাইবোন বেকার ছিল ।

গত জানুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী শ্বেতাঙ্গ নিউইয়র্কবাসীদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ নিউইয়র্কবাসী বেকার হওয়ার আশঙ্কা চারগুণ বেশি ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক তথ্য অনুসারে আমরা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে জাতি ও বর্ণগত বৈষম্যকে অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি এবং কৃষ্ণাঙ্গ বেকারত্ব এখন গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। সিটির পাঁচটি বরো জুড়ে কমিউনিটিগুলোর জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করার মাধ্যমে এই ব্যবধানকে আমরা সংকুচিত করেছি, যেগুলো দীর্ঘকাল ধরে উপেক্ষিত ছিল।

আমরা বসে নেই, কর্মবৈষম্য দূর করতে আমরা Jobs NYC ওয়েবসাইট চালু করেছি, যাতে যেসব কমিউনিটিতে বেকারত্ব হার বেশি, তারা বেসরকারি ও সরকারি খাতের চাকরির অবাধ সুযোগ লাভ করতে পারে।

মেয়র বলেন, সিটির ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য তহবিল সংস্থানের মাধ্যমে স্বল্প আর্থিক-সম্পন্ন মানুষের ক্ষুদ্র ব্যবসা চালু করতে সিটি সহায়তা করছে এবং গত দুটি আর্থিক বছরে সিটি এবং সিটির অধিভুক্ত এজেন্সিগুলো মাইনরিটি ও নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসাগুলোকে ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি আর্থিক সহায়তা দান করেছে।

পাশাপাশি সামার ইয়ুথ এমপ্লয়মেন্ট কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থানের আবেগ আবিষ্কার করতে সাহায্য করছি। তিনি বলেন, মগত সপ্তাহে আমরা ‘রান দিস টাউন’ নামে একটি প্রচারাভিযান শুরু করেছি, যা নিউইয়র্কবাসীকে চাকুরির জন্য আবেদন করতে উৎসাহিত করবে। বেসরকারি খাতে চাকরির জন্য নতুন চাকুরির পোর্টাল চা jobs.nyc.gov-ভিজিট করতেযেতে পারেন।