বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১
করোনা ভাইরাস মহামারি পরবর্তী নতুন স্বাভাবিতায় উদযাপিত হলো পবিত্র ঈদুল আজহা। গত ২০ জুলাই মঙ্গলবার নিউইয়র্কসহ সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে উদযাপিত ঈদুল আজহা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পাশাপাশি ছিল ব্যাপক উৎসব আয়োজন। মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঘিরে নিউইয়র্কে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ঈদের আমেজ পরিলক্ষিত হয় তিন দিন আগে থেকেই। এদিকে, ঈদ উপলক্ষে প্রদত্ত শুভেচ্ছা বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুসলিম আমেরিকানসহ বিশ্বের মুসলমানদের ‘ঈদ মুবারক’ জানিয়েছেন। বাইডেন এবং ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ করেন, ‘আমেরিকানদের পক্ষ থেকে নিরাপদে এবং উৎসবের আমেজে যারা দিবসটি উদযাপন করছেন তাদের ঈদ মুবারক।’ ঈদ উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি বিংকেনও পৃথক বিবৃতিতে মুসলিম আমেরিকানসহ সারাবিশ্বের মুসলমানদের উষ্ণ অভিনন্দন সহ ঈদ মুবারক জানিয়েছেন।
ঈদের পূর্ব রাতে জ্যামাইকা, জ্যাকসন হাইটস, ব্রঙ্কসসহ বিভিন্ন এলাকায় চাঁদরাতের অনুষ্ঠানে ঢল নামে মানুষের মেহেদি লাগানোসহ রকমারি পসরার ভাসমান দোকান দখল করে নেয় ফুটপাত। নিউইয়র্কে বরাবরের মত সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের আয়োজনে। জ্যামাইকার স্থানীয় থমাস এডিসন স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে অংশ নেয় প্রায় ১৫ হাজার নারীপুরুষ। নিউইয়র্ক সিটির অন্যান্য মসজিদের আয়োজনেও খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঈদুল আজহার জামাত। ধারণা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় তিন হাজার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় গত ২০ জুলাই। এবারের ঈদুল আজহার জামাতে অংশগ্রহণকারীদেরকে মাস্ক পরিধান ও নিজ নিজ জায়নামাজ সাথে আনারও পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
নিউইয়র্কে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, বাংলাবাজার জামে মসজিদ, নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টার, জ্যাকসন হাইটস মোহাম্মদী সেন্টার, পার্কচেস্টার জামে মসজিদ, মসজিদ আল আমান, আল আমিন মসজিদ, বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, আসসাফা ইসলামিক সেন্টার, বায়তুল জান্নাহ মসজিদ, ফুলতলী ইসলামিক সেন্টার এন্ড মসজিদ, মসজিদ আবু হুরায়রা, দারুস সুন্নাহ জামে মসজিদ, আল ফোরকান জামে মসজিদ, আমেরিকান মুসলিম সেন্টার, গাউছিয়া মসজিদ, পার্কচেস্টার ইসলামিক সেন্টার, ব্রঙ্কস মুসলিম সেন্টারের ব্যবস্থাপনায় ঈদের বৃহৎ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি): জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে ২০ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয় । অতীতের মত এবারও খোলা আকাশের নিচে টমাস এডিসন হাইস্কুল পার্কে বিশাল ঈদের জামতে মহিলাদের নামাজের ব্যবস্থা ছিল। জেএমসির ঈদ জামাতে মুসল্লিদের সুবিধার্থে পাশ্ববর্তী রাস্তাগুলোতে গাড়ি পার্কিয়ের ব্যবস্থা ছিল।এই ঈদের জামাত নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকায় ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত। এতে ইমামতি করেন জেএমসি’র খতিব ও ইমাম মওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ এবং খুৎবা পাঠ করেন ইমাম শামসে আলী। জেএমসি পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর পরিচালনায় ঈদের নামাজের আগে মূলধারার রাজনীতিক ও নির্বাচিত জনপ্রিতিনিধিদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান, ব্রুকলিন বরো প্রেসিডেন্ট ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারীতে বিজয়ী এরিক অ্যাডামস, ডেভীড ওয়েপ্রীন এবং স্থানীয় কাউন্সিলম্যান জিম জিনারো। জেএমসি পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু মুজাফফর ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সাবেক কাউন্সিলওম্যান এলিজাবেথ ক্রাউলী, এবং ডেমোক্রেটিক প্রাইমারীতে বিজয়ী কুইন্স কাউন্টির জাজ পদপ্রার্থী এটর্নী সোমা সাঈদ। ঈদের নামাজ আদায় শেষে বিশেষ মুনাজাতে মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে করোনা মুক্ত বিশ্ব সহ সমগ্র মুসলিম জাহান তথা মানব জাতির সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করা হয়ছে। এছাড়াও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতদের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত এবং আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।
আরাফা ইসলামিক সেন্টার: জ্যামাইকার আরাফা মসজিদের উদ্যোগে আগের বারের মতই খোলা মাঠে বিশাল আকারে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জ্যামাইকার আইএস-২৩৮, সুজান বি এন্থনী স্কুল মাঠে সিডিসি’র স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকাল সাড়ে ৮টায় জামাতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ। মাওলানা শোয়েব শেখ ঈদের নামাজে ইমামতি করেন। প্রতিষ্ঠানটির সেক্রেটারী খন্দকার তরিকুল ইসলামের পরিচালনায় ঈদের জামাতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আরাফা ইসলামিক সেন্টারের প্রেসিডেন্ট শফিক হাসান, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, স্থানীয় পুলিশ প্রিসিঙ্কট কর্মকর্তা ও হিলসাইড হোন্ডার ফাইন্যান্স ডিরেক্টর রায়হান জামান। এখানে মহিলাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা ছিলো। বক্তাগণ আরাফ ইসলামিক সেন্টারের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সকলের প্রতি আর্থিক সহায়তার আহবান জানান।
দারুস সালাম মসজিদ: জ্যামাইকা সাটফিনের দারুস সালাম মসজিদে সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত পর পর ৪টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদুল আজহার প্রথম জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব কাজী ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল মুকিত। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা আল আমিন আরাফাত। তৃতীয় জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মোম্মদ শাকের। সর্বশেষ ও চতুর্থ জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা শাহাবউদ্দিন। ঈদের জামাতে স্বগত বক্তব্য রাখেন মসজিদের প্রেসিডেন্ট হাফেজ মুশতাক চৌধুরী ও সেক্রেটারী লন আহমেদ।
উডসাইড জামে মসজিদ : উডসাইড বায়তুল জান্নাহ মসজিদে ঈদুল আজহার তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনটি জামাতে দেড় হাজারের অধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। মহিলাদের জন্য শেষ জামাতে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছিল এবং জামাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা অংশগ্রহণ করেন।
মসজিদ আল-কুবা (সাউথ জ্যামাকা) : জ্যামাইকার পিএস ৫০ লিবার্টি এভিনিউ স্কুলের মাঠে মসজিদ আল কুবার আয়োজনে ঈদুল আজহার নামাজ অনুস্টিত হয় । মসজিদ কমিটির সভাপতি সেলিম খান ও বর্তমান কমিটির ত্বত্তাবধানে এই প্রথম স্কুলের খোলা মাঠে প্রায় হাজারো ধর্মপ্রান মুসলিম ভাই ও বোনেরা নামাজে অংশ গ্রহন করেন । কমিউনিটি বোর্ড ১২ এর এরিয়া চেয়ার পারর্সন মোহাম্মদ আলী মুসল্লীদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশ এবং প্রবাসে যারা পেন্ডামিকে মারা গেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও অসুস্থদের আরোগ্যের জন্য দোয়া করা হয়।
আমেরিকান মুসলিম সেন্টার: আমেরিকান মুসলিম সেন্টার ঈদুল আজহার ৩টি জামাতের আয়োজন করে। প্রথম জামাত মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৬.১৫ এ। ইমামতি করেন ইমাম আতাউর রহমান। ২য় ও ৩য় টি অনুষ্ঠিত হয় রুফুস কিং পার্কে। ইমামতি করেন যথাক্রমে মুফতি উবাইদুল্লাহ এবং আব্দুল মুরসিত। বিপুল সংখ্যক নারীপুরুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। নামাজ শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম মির্জা আবু জাফর বেগ। তিনি দেশ বিদেশের সকলের কল্যাণ কামনায় দোয়া করেন।
নিউইয়র্ক ঈদগাহ: জ্যাকসন হাইটসে প্রতি বছরের মত এবারও নিউইয়র্ক ঈদগাহর ৫টি ঈদ জামাত মোহাম্মদী সেন্টারের পরিচালনায় ও সিটি পার্টনার সুখী নিউইয়র্কের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর্লি মর্নিং’র ৬:৩০ ও ৭:৩০’টার জামাত দুটো সহ ৯, ১০ ও ১১:০০টার শেষ জামাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মুসল্লির সমাগম ঘটে। নিউইয়র্ক ঈদগার পক্ষ থেকে ইমাম কাজী কায়্যূম ৫টি জামাতে আগত মুসল্লিবৃন্দ, সুখী নিউইয়র্ক, ১১৫’র পুলিশ ক্যাপ্টেইন জামিল আলতাহেরী ও কম্যিউনিটি এ্যাফেয়ার্স অফিসার মেইকোকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জ্যাকসনহাইটস মুসলিম কম্যিউনিটি ও নিউইয়র্ক ঈদগাহর সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় ১১৫ পুলিশ প্রিসিঙ্কটের ক্যাপ্টেইন আততাহিরীর হাতে নিউইয়র্ক ঈদগাহর পরিচালক ইমাম কাজী কায়্যূম একটি ঈদ মোবারক-সম্মাননা প্ল্যাক তুলে দেন। প্রতিটি জামাতের খুতবা শেষে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ ও বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ব্রঙ্কসে বাংলাবাজার জামে মসজিদ: ব্রঙ্কসে বাংলাবাজার জামে মসজিদের উদ্যোগে সকাল ৮টা এবং সকাল ৮:৪৫ মিনিটে মসজিদের নিকটবর্তী পিএস ১০৬ খোলা মাঠে ২টি বিশাল জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব মাওলানা আবুল কাশেম এয়াহইয়া। দ্বিতীয় জামায়াতে ইমামতি করেন প্রিন্সিপাল মাওলানা একেএম আব্দুন নূর। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর এবং সাধারণ সম্পাদক মো. লালন আহমেদ।
নর্থ ব্রঙ্কস জামে মসজিদ: নর্থ ব্রঙ্কস জামে মসজিদের উদ্যোগে সকাল ৮টায় ব্রঙ্কসের ওভাল পার্কে বিশাল ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম ও খতীব হাফিজ মুসাদ্দেক আহমেদ। এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মসজিদের সভাপতি সৈয়দ জামিন আলী, সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।
পার্কচেস্টার জামে মসজিদ: পার্কচেস্টার জামে মসজিদে সকাল ৮ টা ও সকাল ৯ টায় ঈদের দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সংশিষ্ট সিটির পক্ষ থেকে প্রতিটি ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের তথ্য জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কুইন্সের এস্টোরিয়ায় আল আমিন মসজিদ, ওজোনপার্কে আল আমান মসজিদ, ব্রুকলীনে বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার এবং ব্রঙ্কস এলাকায় বড় ধরনের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে অনেকে ছুটেন পশু খামারে। দূরবর্তী স্থানের এসব খামারে গিয়ে পছন্দের গরু, খাশী অথবা ভেড়া ক্রয় করেন। ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান, জর্জিয়ার বিভিন্ন স্থানে খোলা ময়দানে পশু কুরবানীর পর নারী-পুরুষ মিলে মাংস প্রসেসিং করেন।
নামাজ শেষে অনেকে ছুটে যান পশু খামারে। দূরবর্তী স্থানে খামারে গিয়ে পছন্দের গরু, খাশী অথবা ভেড়া ক্রয় করেন। অনেকে বাংলাদেশি গ্রোসারি/সুপার মার্কেট এর মাধ্যমে কুরবানী দেন। বাংলাদেশি গ্রোসারি/সুপার মার্কেট সূত্রে জানা গেছে, নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসলিভেনিয়া, কানেকটিকাট, ম্যাসেচুসেটস, ম্যারিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, জর্জিয়া, ইলিনয়, ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, ক্যানসাস, আরিজোনা প্রভৃতি স্টেটে প্রায় ৫০ হাজার পশু কোরবানি দিয়েছেন বাংলাদেশিরা। বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি দেশে কুরবানী দেন বলে জানা গেছে। ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান, জর্জিয়ার বিভিন্ন স্থানে খোলা ময়দানেও অনেকে পশু কুরবানীর মাংস প্রসেসিং করেন বলে জানা গেছে।করোনায় বিধিনিষেধের কারণে এবার পবিত্র হজ পালনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেউ মক্কায় যেতে পারেন নি বলে জানা গেছে।অনেকে জামাত শেষে কাজে যোগ দেন। আবার অনেকে কুরবানী দিতে ফার্মে যান। কেউ কেউ ঘনিষ্টজন আর বন্ধুদের বাসায় গিয়েও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ঈদের নামাজ আদায়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির ব্যবস্থাপনা এবং সিটি প্রশাসনের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল উল্লেখ করার মত। জামাতের আশপাশেই ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদের নামাজ আদায়ের স্থানগুলোর আশপাশের রাস্তায় ফ্রি গাড়ী পার্কিং থাকায় দূর দূরান্ত থেকে নির্বিঘ্নে বিপুলসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লী সপরিবারে ঈদের নামাজে শরীক হন। ২৮ শতাধিক মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
Posted ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh