বাংলাদেশ অনলাইন : | সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
দীর্ঘ ১২ বছর পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নিলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ১৩ জুন (রবিবার) রাতে তাকে বিদায় নিতে হয়। নেতানিয়াহুর স্থলাভিষিক্ত হলেন ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী জামিনা পার্টির নাফতালি বেনেট। তিনি দেশটির ১৩তম প্রধানমন্ত্রী হলেন।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশটির সংসদ নতুন সরকারের অনুমোদন দিয়েছে। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে নতুন জোট সরকার গঠন নিয়ে বিতর্ক ও ভোট গ্রহণ হয়। দেশটির সংসদে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নাফতালি বেনেট। তার পক্ষে ৬০ এবং বিপক্ষে ৫৯ ভোট পড়ে।
এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হলো। নেতানিয়াহু (৭১) তার প্রজন্মের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ। গত ২৩ মার্চের নির্বাচনের পর তিনি সরকার গঠনে ব্যর্থ হন। দুই বছরের মধ্যে দেশটিতে চতুর্থবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ইসরায়েলের নতুন জোট সরকারে মোট আটটি দল রয়েছে। এর মাঝে ফিলিস্তিনপন্থী দলও রয়েছে। নেতানিয়াহুর একসময়ের ঘনিষ্ঠজন ও তার সরকারে কয়েক দফায় মন্ত্রিত্ব করা নাফতালি বেনেট মধ্যপন্থী দল ইয়েস আতিদের সঙ্গে জোট গড়তে রাজি হন। এর ফলে গত সপ্তাহেই নেতানিয়াহুর বিদায়ের ঘণ্টাধ্বনি বাজতে শুরু করে। পার্লামেন্টে বেনেটের দলের মাত্র ছয়টি আসন থাকলেও গত মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া দল ইয়েস আতিদের সরকার গঠনের জন্য তার সমর্থন জরুরি হয়ে পড়ে।
ইয়েস আতিদের নেতা ইয়ার লাপিদের সঙ্গে বেনেটের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে চার বছর মেয়াদের এই সরকারে প্রথম দুই বছর প্রধানমন্ত্রী হবেন বেনেট। তার পরের দুই বছর প্রধানমন্ত্রী হবেন লাপিদ। বিবিসির প্রতিবেদনে নাফতালিকে ‘উগ্র-জাতীয়তাবাদী’ নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আল-জাজিরা তাকে পরিচয় করাতে গিয়ে ‘ডানপন্থী ধর্মীয় বক্তা’ উল্লেখ করেছে।
মার্কিন বংশোদ্ভূত বেনেট স্পেশাল ফোর্সের সাবেক কমান্ডো। রায়ানা শহরে চার সন্তান এবং স্ত্রী নিয়ে তার বসবাস।
মিলিয়নিয়ার এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ২০০৫ সালে নিজের স্টার্টআপ ১৪৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে রাজনীতিতে নামেন। পরের বছর নেতানিয়াহুর চিফ অব স্টাফ নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে নেতানিয়াহুর অফিস ছেড়ে দখলকৃত ওয়েস্ট ব্যাংকে ইহুদি সেটেলারদের হয়ে লবিং করা ইয়েসা কাউন্সিলের প্রধান হন।
রাজনীতিতে ঝড় তোলেন ২০১২ সালে। ওই সময় তিনি কট্টর ডানপন্থী জিউস হোম পার্টির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিন বিষয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। ২০১৩ সালে ফিলিস্তিনিদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ওদের মুক্তি না দিয়ে হত্যা করা উচিত।’
এদিকে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে। তিনি যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবু সবকিছু পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
Posted ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh