বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
ফেনীতে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ শীর্ষক লংমার্চে কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়সহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। ১৭ অক্টোবর (শনিবার) দুপুরে ফেনীর জজ কোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের অভিযোগ স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা তাদের উপর হামলা করেছেন।
তারা জানান, বেলা পৌনে ১২টার দিকে তারা শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে পাগলা মিয়া সড়কে অপেক্ষমান বাসের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপর জজ কোর্ট এলাকায়ও তারা সমাবেশ করেন। এসময় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা তাদের মারধর শুরু করে। এর আগে ট্রাংক রোডে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ জোটের তিন কর্মীকে মারধর করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে পুলিশ ওই স্থান থেকে সরে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় পাশেই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ চলছিল। বাইরে ট্রাংক রোডের দোয়েল চত্বরে আগে থেকে ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর ছবি সম্বলিত বড় বাঁধানো ফেস্টুন বসানো ছিল। শনিবার সমাবেশ চলাকালে কে বা কারা ফেস্টুনের ওপর লাল রঙ দিয়ে ‘ধর্ষকদের পাহারাদার’ কথাটি লিখে দেয়।
এ সময় জিরো পয়েন্টে দায়িত্বরত পুলিশ সেখানে গিয়ে উপস্থিত কয়েকজন কর্মীর সাথে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হন এবং তিনজনকে মারধর করে। বাইরে উত্তেজনা দেখা দিলে এবং হট্টগোল শুরু হলে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শ’খানেক কর্মী বাইরে এসে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরে প্রতিবাদের মুখে পুলিশ সরে গিয়ে পশ্চিমে বনফুল এর সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। শেষে নেতারা এসে কর্মীদের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিয়ে যান। এসময় পুলিশের হামলার শিকার কর্মীদের নাম জানা যায়নি।
Posted ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh