বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বায়ুদূষণ এখন এক ভয়াবহ মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকটে রূপ নিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে এই অঞ্চলে প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এর ফলে দেশগুলোর বার্ষিক জিডিপি-র প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘আ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো–গাঙ্গেয় প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল: বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে।
দূষণের প্রধান ৫ উৎস: ১. রান্নার কাজে কঠিন জ্বালানি ব্যবহার। ২. শিল্পকারখানায় ফিল্টারবিহীন জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। ৩. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের ধোঁয়া। ৪. ফসলের অবশিষ্টাংশ ও পশুবর্জ্য পোড়ানো। ৫. খোলা স্থানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
অর্থনৈতিক প্রভাব: বায়ুদূষণের কারণে উৎপাদনশীলতা ও স্বাস্থ্যখাতে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা আঞ্চলিক জিডিপি-র ১০ শতাংশের সমান।
বিশ্বব্যাংক এই সংকট মোকাবিলায় দেশগুলোকে চারটি স্তম্ভের ওপর জোর দিতে বলেছে: ১. নির্ভরযোগ্য উপাত্ত ও পরিকল্পনা। ২.পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান। ৩. আইন মানা ও স্থানীয়-জাতীয় সমন্বয়। ৪.ইলেকট্রিক পরিবহন ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার জানান, সমাধানগুলো হাতের নাগালেই আছে, তবে এর জন্য সরকারগুলোর সমন্বিত রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আর্থিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। যথাযথ পদক্ষেপ নিলে এই বিপুল সংখ্যক প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব।
Posted ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh