করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সেক্রেটারি অব স্টেট) স্টিফেন ই বিগান রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ড. মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিনিয়োগ সরকারি পর্যায়ে হতে পারে, বেসরকারি পর্যায়েও হতে পারে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে তা কীভাবে বাংলাদেশ পেতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

বৈঠক শেষে স্টিফেন ই বিগান জানান, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই আমরা বাংলাদেশের পাশে রয়েছি। তিনি আরো বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তিনি, স্বাধীন, অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি করোনা মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ও যৌথ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান।

এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি লিখেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। বাংলাদেশকে শক্তিশালী, স্বাধীন ও সমৃদ্ধ অর্জনে আগামী ৫০ বছর দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করার দিকে তাকিয়ে আছি যা বঙ্গবন্ধুকে গর্বিত করবে। ভারতে দুইদিনের সফর শেষে বুধবার ( ১৪ অক্টোবর) ঢাকায় আসেন বিগান।