বাংলাদেশ ডেস্ক : | রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, তারা ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। গত ২৬ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এমনটি বলা হয়েছে।
ভ্যাকসিনটি কার্যকর প্রমাণিত হলে দ্রুততম সময়ে এটি বাজারে আনতে এরই মাঝে অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা’। ইতোমধ্যে বৃহৎ পরিসরে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এ ওষুধ বাজারে আনা সম্ভব হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই মুহূর্তে তারা ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে বলা যায়, সম্ভবত তারাই এ ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে এবং সবার আগে তাদের ফলাফলই আসার কথা। তিনি জানান, মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘মডার্না’ ফার্মাসিউটিক্যালসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনও অ্যাস্ট্রাজেনেকার চেয়ে অনেক বেশি পিছিয়ে নেই। করোনার ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী ২০০ গবেষণা চলছে, এর মধ্যে ১৫টি গবেষণা হিউম্যান ট্রায়ালের পর্যায়ে আছে।
সৌম্য স্বামীনাথ বলেন, আমরা জানি মডার্নার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সর্বশেষ অর্থাৎ তৃতীয় ধাপে প্রবেশ করতে চলেছে। সম্ভবত জুলাইয়ের মাঝামাঝি তারা এ ধাপে গবেষণা শুরু করবে। তবে সব বাস্তবতা মিলিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এ ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে।
কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপিয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই)সহ ডব্লিউএইচও এবং এর অংশীদারদের অনুমান, দুই বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন কিনতে ও সরবরাহ করতে ১৮.১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। এগুলো ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ জনগোষ্ঠী যেমন স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
একবার অধিগ্রহণের পরে, ডব্লিউএইচও তার স্টকের অর্ধেক নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে বিতরণ করবে। এটির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এবং যুক্তরাজ্যের মতো উচ্চ-আয়ের দেশগুলোর কাছ থেকে ৯৫০ ডলার প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন হবে, যারা ভ্যাকসিন নির্মাতাদের সাথে তাদের নিজস্ব চুক্তি নিয়ে আলোচনা করে। তিনি বলেন, ডব্লিউএইচও সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে সিনোভাকসহ একাধিক চীনা নির্মাতার সাথে আলোচনা করছে। যে দেশগুলো নতুন ভ্যাকসিন প্রকল্পে অংশ নিতে চায় তারা ডব্লিউএইচও’র কোভ্যাক্স সুবিধায় ‘শেয়ার’ কিনতে পারবে।
কোভ্যাক্স প্রার্থী ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে ৯টি ডোজ সংকলন করবে- যেটি ডব্লিউএইচও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মনে করেছে এবং এই পরিকল্পনাটি কেনার উদ্দেশ্য হলো দেশগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক কাজের সর্বাধিক অ্যাক্সেস থাকতে পারে, যা এখনও জানা যায়নি।
সামগ্রিকভাবে, ১৪১টি দেশকে নিম্ন বা মধ্যম আয়ের হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে ক্লিনিকাল ট্রায়ালে কমপক্ষে চারটি ভ্যাকসিন রয়েছে। চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত তৃতীয় মানব পরীক্ষায় একটি ভ্যাকসিন রয়েছে।
স্বামীনাথন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ওষুধ ও ভ্যাকসিনের জন্য ডব্লিউএইচওর চলমান পরীক্ষায় সংহতি প্রকাশের পাশাপাশি সহযোগিতার কথা বিবেচনার আহ্বান জানান।
Posted ১০:২১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh