বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট ২০২১
গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ এভিয়ায় এখনো দাবানল জ্বলছে দাউদাউ করে। নেভানো সম্ভব হয়নি। এথেন্সের শহরতলিতে এসে গিয়েছিল দাবানলের আগুন। তবে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এভিয়া থেকে প্রচুর মানুষ সমুদ্রপথে নিরাপদ জায়গায় চলে গেছেন। দেশে ভয়াবহ দাবানলের জন্য ক্ষমা চাইলেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী। দাবানলের তাণ্ডবের পর ক্ষমা চেয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসুতাকিস। দাবানল থামাতে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তিনি বলেছেন, সকলেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। খবর ডয়চে ভেলের
গ্রিসে এখন প্রবল তাপপ্রবাহ চলছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম। সেই সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। ফলে দাবানল নেভাতে বিপদে পড়েছে সরকার। একের পর এক জায়গায় দাবানল লাগছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পাইনবন। মানুষ পালাচ্ছেন। সম্পত্তির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ”এভিয়া ও অন্যান্য জায়গায় দাবানল আমাদের প্রত্যেককে বিষণ্ণ করেছে। সব ক্ষতিগ্রস্তকে সরকার সাহায্য করবে। এর জন্য অতিরিক্ত ৫০ কোটি ইউরো খরচ করা হবে। আবার গাছ লাগানো হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, যারা দোষী তাদের ছাড়া হবে না। শাস্তি দেয়া হবে। তিনি বলেছেন, ‘যারা বাড়ি, ঘর, বিষয়-সম্পত্তি হারিয়েছেন, তাদের ব্যথা আমি বুঝি। তাই বলছি, দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেব।’
বেশ কয়েকটি শহরের মেয়র অভিযোগ করেছেন, আকাশপথে দাবানল মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়নি। তাই তাদের পক্ষে দাবানল নেভানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু এটা ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ফলে তা সামলানো সহজ ছিল না। গ্রিসে অন্ততপক্ষে ৫৬ হাজার হেক্টরের বনভূমি ও গ্রাম পুড়ে গিয়েছে।
এভিয়াতে গত ৩ অগাস্ট থেকে দাবানল জ্বলছে। এখনো তা নেভানো সম্ভব হয়নি। অনেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগুন নেভানোর চষ্টা করছেন। তারা ছাড়া বাকিদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের চেষ্টায় অনেক গ্রাম বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন ঠিকই, তা সত্ত্বেও দাবানল নেভানো সম্ভব হয়নি।
ইইউ গ্রিসের আগুন নেভাতে ২১টি বিমান পাঠিয়েছে। এক হাজার ২০০টি দমকলও পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া তারা ২৫০টি গাড়িও দিয়েছে।
Posted ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh