বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
পুরোনো ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে কোরিয়া উপদ্বীপে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠছে। এ কারণে আরও তিনটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর পাশাপাশি ২০২৪ সালে সামরিক ড্রোন নির্মাণ ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে উত্তর কোরিয়া। ৩০ ডিসেম্বর (শনিবার) পাঁচ দিনব্যাপী ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন উত্তরের প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। খবর : রয়টার্সের।
পুরাতন বছরকে বিদায় জানাতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অষ্টম কেন্দ্রীয় কমিটির নবম পূর্ণাঙ্গ সভা গত মঙ্গলবার শুরু হয়। ক্ষমতাসীন দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের পাঁচ দিনব্যাপী এই সমাবেশ থেকে দেশের মূল নীতিমালা ঘোষণা করা হয়। যদিও আগে নববর্ষের দিনে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থায় কিমের বক্তব্য প্রকাশ করা হতো।
কিম জং উন বলেন, আমাদের ওপর হামলার জন্য শত্রুদের বেপরোয়া পদক্ষেপের কারণে কোরীয় উপদ্বীপে যে কোনো সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সমগ্র ভূখণ্ডকে শান্ত করে দিতে সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি হামলার জবাবে পারমাণবিক বোমাসহ প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিম বলেন, যদি আমরা শত্রু বাহিনীর আক্রমণাত্মক সামরিক কর্মকাণ্ডের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর দিই তাহলে দেখতে পাব যুদ্ধ শব্দটা একটি বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। এটা আর কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়।
তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প নেই। চীন ও রাশিয়া—দুই দেশের সঙ্গেই উত্তর কোরিয়ার বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
বিদায়ী ২০২৩ সালে মহাকাশে প্রথমবারের মতো সফলভাবে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠানোর দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। এই বছরই কঠিন জ্বালানি চালিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো জায়গায় পারমাণবিক হামলা চালাতে পারবে কিম জং উনের দেশ।
Posted ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh