বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যায় উল্লম্ফনের কথা জানিয়ে বেশির ভাগ মানুষের ঝুঁকির কথা স্মরণ করে দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, ‘মহামারীর নতুন ও ভয়ংকর ধাপে এখন আমরা। ভাইরাসটি এখনো দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করছে। বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ এখন ঝুঁকিতে।’
গত ১৯ জুন জেনেভায় ডাব্লিউএইচও সদর দপ্তরে থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডাব্লিউএইচও প্রধান বলেন, গত ১৮ জুন এক দিনেই দেড় লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বেশি। রেকর্ড আক্রান্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে।
গেব্রিয়েসুস বলেন, ঘরবন্দী থাকার কারণে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। অনেক দেশ লকডাউন তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে ভাইরাসটি যেহেতু এখনো দ্রুত ছড়াচ্ছে, তাই সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার মতো বিষয়গুলো এখনো গুরুত্বপূর্ণ। একটি টিকা না পাওয়া পর্যন্ত এই পরিস্থিতি মোকাবেলা কঠিনই হবে।
তিনি আরো বলেন, মহামারীতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে শরণার্থীদের ওপর। তাদের বেশির ভাগই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অবস্থান করছে। করোনা শনাক্ত, মোকাবেলা ও সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে ডাব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান বিভিন্ন দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় দফার ঢেউয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, লকডাউন থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত সতর্কতার সঙ্গে নেওয়া উচিত। তা নিতে হবে ধাপে ধাপে এবং তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে।
গত ১১ জুন চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের বৃহত্তম পাইকারি বাজার শিনফাদিতে করোনার গুচ্ছ সংক্রমণ ঘটে। এরপর যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে মুরগির মাংসের একটি বৃহৎ বাজারকেও নভেল করোনাভাইরাসের গুচ্ছ সংক্রমণের উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এসব গুচ্ছ সংক্রমণের ঘটনাকে এখনই সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বলছেন না রায়ান।
Posted ৫:৫৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh