ডয়চে ভেলে | শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্র সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২২ জুন (বৃহস্পতিবার) মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিয়েছেন। এদিন রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে একগুচ্ছ চুক্তিও সম্পন্ন করেছেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে হওয়া একাধিক চুক্তি, সমঝোতা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর অধিকাংশ সামরিক ক্ষেত্রে। যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মোটরস ঘোষণা করেছে, তারা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের (হ্যাল) সঙ্গে মিলে ভারতে বিমানবাহিনীর জন্য জেট ইঞ্জিন তৈরি করবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র অন্য কোনো দেশকে এই উচ্চপ্রযুক্তি দেয়নি। এই জেট ইঞ্জিন বিমানবাহিনীকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে রাখবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
তিনটি মার্কিন সেনা কমান্ডে যোগাযোগকারী অফিসার নিয়োগ করবে ভারত। গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত। যুক্তরাষ্ট্রের চিপ উৎপাদক কোম্পানি মাইক্রন গুজরাটে একটি চিপ তৈরির কারখানা করবে। এর জন্য ২৭৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক আগেই জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি ভারতে টেসলার গাড়ি তৈরির কারখানা করবেন।
সূত্রের খবর, দুই দেশই একটি করে কনসুলেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত সিয়াটেলে এই কনসুলেট খুলবে। ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে আবার মানুষ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতও তাতে সামিল হবে। বাইডেন জানান, ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ভারতের একজন মহাকাশচারী পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র যাতে ফাস্ট ট্র্যাকে অস্ত্র দিতে পারে সেজন্য সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে বিল এনেছেন কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশই বাণিজ্য বাড়াবে। ২০১৪ এর তুলনায় ২০২২ এ বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। সেটা আরও বাড়ানো হবে।
মোদী যা বললেন : মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে নিশানা করে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে কোনো, যদি, কিন্তু থাকতে পারে না। কোনো রাষ্ট্র যদি সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তাহলে সেদেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
মোদি বলেন, ‘৯/১১ এর পর দুই দশক এবং ২৬/১১ এর পর এক দশরে বেশি সময় চলে গেছে। এখনও বিশ্বের সামনে অন্যতম মূল সমস্যা হলো সন্ত্রাসবাদ।’
চীনের নাম উল্লেখ না করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিকের উপরে কালো মেঘ জমেছে, সংঘাতের কালো মেঘ।’
জাতিসংঘের চার্টারের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রেখে সব সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে।’
নৈশভোজের অতিথিরা : নরেন্দ্র মোদির সম্মানে দেওয়া জো ও জিল বাইডেনের নৈশভোজে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি, সুন্দর পিচাই, ইন্দ্রা নুয়ি, সত্য নাদেলা, অ্যাপেলের সিইও টিম কুকসহ অনেকেই। এছাড়া যোগ দিয়েছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, কংগ্রেস সদস্য রো খান্না ও রাজা কৃষ্ণমূর্তিরাও ছিলেন।
Posted ১:০০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh