বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করা ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ বিদ্রোহ করেছে। বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিক্রিয়ায় তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খবর : এপি
২৩ জুন (শুক্রবার) একগুচ্ছ অভিযোগ এনে ক্রেমলিনকে চ্যালেঞ্জ জানান ওয়াগনার প্রধান। মস্কো এই হুমকিকে গুরুত্ব দিয়ে রাজধানী, সামরিক সদর দফতর ও অন্যান্য অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সম্প্রতি যুদ্ধক্ষেত্রে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি ইউক্রেন। এই সময় প্রতিপক্ষ শিবিরে বিদ্রোহের ঘটনা লড়াইকে প্রভাবিত করতে পারে।
২৪ জুন ভোরে প্রিগোজিন দাবি করেন, তার বাহিনী ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় প্রবেশ করে রোস্তভ পৌঁছেছে। চেকপয়েন্টে তরুণ সেনাদের তাদের কোনো বাধা দেয়নি। জানান, ‘তার বাহিনী ‘শিশুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে না।’
গতকাল দিবাগত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে প্রিগোজিন আরো বলেন, যারা আমাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাকে ধ্বংস করব। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি ও শেষ পর্যন্ত যাব। তার দাবি, ওয়াগনারের বহরকে আঘাত করার জন্য যুদ্ধবিমানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ। একটি বেসামরিক কাফেলার ওপর গুলি করলে তার বাহিনী একটি রাশিয়ান সামরিক হেলিকপ্টারকে গুলি করেছে।
প্রিগোজিনের বিবৃতি সত্ত্বেও ওয়াগনার কনভয়গুলো যে রোস্তভে প্রবেশ করেছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রিগোজিনের দাবি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে বৈঠকের পরে গেরাসিমভের নির্দেশে ইউক্রেনে ওয়াগনার গ্রুপের আঘাত হানা হয়। ওই বৈঠকে তারা ওয়াগনারকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ওয়াগনার বাহিনী ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ও দীর্ঘতম যুদ্ধে বাখমুত শহর দখল করতে সাহায্য করেছে তারা। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে রুশ সেনাবাহিনীর অযোগ্যতা ও অস্ত্র-গোলাবারুদের স্বল্পতা নিয়ে অভিযোগ করে আসছিলেন প্রিগোজিন।
প্রিগোজিন জানান, তার নেতৃত্বে তার ২৫ হাজার সৈন্য রয়েছে। গতকাল রাতে তিনি বলেন, সৈন্যরা একটি সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুকে শাস্তি দেবে। ‘এটি সামরিক অভ্যুত্থান নয়’ উল্লেখ করে সেনাবাহিনীকে পাল্টা জবাব না দেয়ার আহ্বান করেন।
এদিকে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসেস বা এফএসবির অংশ ন্যাশনাল অ্যান্টি-টেররিজম কমিটি প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের ডাক দেয়ার অভিযোগ এনেছে। যার শাস্তি ২০ বছর পর্যন্ত জেল।
ওয়াগনারের চুক্তি সৈন্যদের প্রিগোজিনকে আটক এবং তার ‘বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ আদেশ’ না মানার অনুরোধ করেছে এফএসবি। তারা বলছে, বাহিনী প্রধানের বক্তব্য ‘রুশ সৈন্যদের পিঠে ছুরিকাঘাত’ ও রাশিয়ায় সশস্ত্র সংঘাতকে উস্কে দিয়েছে।
Posted ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh