বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুলাই ২০২১
আমেরিকান সিটিজেনশিপের জন্য আবেদন করে দীর্ঘদিন থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন অসংখ্য গ্রীনকার্ডধারী ইমিগ্রান্ট। ন্যাচারাইজেশনের বাধা দূর করতে ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইমিগ্রেশন ও ন্যাচারালাইজেশন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাহী আদেশের আলোকে গত সপ্তাহে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। হোমল্যান্ড সেক্রেটারী আলেজান্দ্রো এন মেয়রকাস এ সম্পর্কে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারা চমৎকার এক সুযোগ। নতুন নাগরিকরা সকল ক্ষমতার অধিকারী হন এবং তাদের উপর অনেক দায়িত্ব আরোপিত হয়, যা আমাদের জাতিকে সমৃদ্ধ করে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা ন্যাচারালাইজেশন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও সমন্বিত করার মাধ্যমে সিটিজেন হওয়ার জন্য আগ্রহী ইমিগ্রান্টদের আশ্বস্ত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, যাতে নাগরিক হওয়ার যোগ্য আবেদনকারীদের জন্য বাধাগুলো অপসারিত হয়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউএসসিআইএস ন্যাচারালাইজেশনের পথে বেশ কিছু বাধা অপসারণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আইনানুগ ইমিগ্রেশন ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা পুন:প্রতিষ্ঠা করেছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দশ লাখ ইমিগ্রান্ট গ্রীনকার্ড বা স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি লাভ করে এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত গ্রীনকার্ডধারীর সংখ্যা ছিল এক কোটি ৩৬ লাখ। গ্রীনকার্ডধারীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভের উপযুক্ত গ্রীনকার্ডধারীর সংখ্যা ৯২ লাখের অধিক। নাগরিকত্ব লাভের যোগ্য ইমিগ্রান্টদের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে মেক্সিকো থেকে আগত ইমিগ্রান্ট সর্বাধিক, যা ২০১৯ সালে ছিল ২৫ শতাংশ (২৪ লাখ ৮০ হাজার)। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে আগত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভের যোগ্য ইমিগ্রান্ট সংখ্যা ২০১৯ সালে মোট সংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ ছিল। নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যদের মধ্যে চীনের ৫ শতাংশ, ফিলিপাইন, কিউবা ও ডোমিনিকান রিপাবলিকের ৪ শতাংশ করে (ফিলিপাইন-৩ লাখ ৭০ হাজার, কিউবা-৩ লাখ ৫০ হাজার ও ডোমিনিকান রিপাবলিক-৩ লাখ ৪০ হাজার) এবং ভারতের ৩ লাখ ১০ হাজার)।
Posted ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুলাই ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh