বাংলাদেশ অনলাইন : | বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমন্বিত ধর্মঘট শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। এতে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে সবকিছু। ১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) শুরু হওয়া এই ধর্মঘট আরও কিছুদিন চলতে থাকলে ভয়াবহ সংকটে পড়বে দেশটি। অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ধর্মঘট শুরু করেছে, শিগগিরই এতে পাঁচ লাখ মানুষ যোগ দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর : আলজাজিরার
সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে শুরুতে রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষকরা। তারপর সেখানে যুক্ত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সরকারি কর্মী, ট্রেনচালকসহ বিভিন্ন খাতে কাজ করা চাকরিজীবীরা। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরতদের বেতন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন সরকার। সংকুচিত করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে শ্রমিকদের কণ্ঠরোধ করতে নয়া শ্রম আইন আনার সরকারি সিদ্ধান্ত। আইনটিতে বলা হয়েছে, কয়েকটি ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ধর্মঘট করা যাবে না।
ধর্মঘটের ফলে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বেশিরভাগ রেল পরিষেবা। অনেক জায়গায় ফ্লাইট ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হচ্ছে যে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত হতে বলেছে সরকার। ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি মেরি বুস্টেড বলেছেন, তাঁর ইউনিয়নের শিক্ষকরা মনে করেন, তাদের ধর্মঘট করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ বেতন হ্রাসের অর্থ হলো অনেক লোক পেশা ছেড়ে যাচ্ছে, যা বাকিদের কাজ কঠিন করে তুলছে।
শিক্ষামন্ত্রী গিলিয়ান কিগান সরকারের অবস্থানে অনড় রয়েছে। তিনি বলেছেন, বেশি বেতন বৃদ্ধির দাবি মেনে নেওয়া শুধু মুদ্রাস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলবে।
Posted ৬:৪১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh