বাংলাদেশ ডেস্ক | শনিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
ভালোবেসে একসঙ্গে বাঁচার উপায় নেই। তাই ঠিক করেছিলেন একসঙ্গে শেষ করবেন জীবন। পাশাপাশি দাঁড়িয়েও ছিলেন রেললাইনের ধারে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যান প্রেমিকা। তার চোখের সামনেই প্রেমিকের শরীরটি লাফিয়ে পড়ল চলন্ত ট্রেনের সামনে, মুহূর্তে টুকরো টুকরো হয়ে গেল।
ঘটনাটি ভারতের রাজস্থানের। বৃহস্পতিবার রাতে এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ বছরের যুবক রাজু ভাটের। রাজু রাজস্থানের বালোত্রা গ্রামের পাছপড়রা থানা এলাকার খেড় গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দিনমজুর। তার দুই সন্তান আছে। আছেন স্ত্রী-ও। তার পরেও রাজুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তারই গ্রামের ২০ বছরের এক তরুণীর।
রাজুর পরিচিতরা জানিয়েছেন, দুজনেই বুঝেছিলেন বিয়ে করা সম্ভব নয়। এনিয়ে বৃহস্পতিবার দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। তার পরই একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তারা। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, দ্রুতগতি ট্রেনকে সামনে আসতে দেখে ভয় পেয়ে পিছিয়ে যান তিনি। কিন্তু রাজু ঝাঁপ দেন।
এঘটনার পর রাজুর পরিবার ওই তরুণীকেই রাজুকে খুনের জন্য অভিযুক্ত করেছে। রাজুর পরিবারের দাবি, ওই তরুণী তার পরিবারের সাহায্যে রাজুকে হত্যা করে তার দেহ ট্রেনের সামনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। রাজুর ভাই এ-ও জানান, ঘটনাটির দিন কয়েক আগেই রাজু তাকে বলেছিলেন, তাকে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল কেউ। রাজুর পরিবার জানিয়েছে, অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা না হলে রাজুর দেহ সংগ্রহ করবে না তারা। পুলিশ গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
Posted ৮:৫৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh