বাংলাদেশ ডেস্ক | শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
আইএস বধূ হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত শামীমা বেগমের আপিল খারিজ করে দিয়েছে বৃটিশ আদালত। ইসলামিক স্টেট জিহাদি গোষ্ঠীর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কারণে ২০১৯ সালে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে বৃটিশ সরকার। এরপর থেকেই তিনি অব্যাহতভাবে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নাগরিকত্ব ফিরে পেতে সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবরে লন্ডনের আপিল আদালতে মামলা করেন ২৪ বছরের শামীমা। তবে শুক্রবার ওই আপিল আদালত বলেছে, শামীমার বৃটিশ নাগরিকত্ব আইনসিদ্ধভাবেই বাতিল করা হয়েছে।
ফলে বৃটেনের নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়া এবং দেশে ফেরত যাওয়ার সব সম্ভাবনা হারালেন শামীমা। রায়ে বিচারপতি বলেছেন, শামীমা বেগমের বিষয়টি কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে এবং নিজের দুর্ভাগ্যের জন্য তিনিই দায়ী। এসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু এ বিষয়ে একমত হওয়া বা কোনো বিষয়েই ভিন্নমত দেখানো আদালতের কাজ নয়। আমাদের একমাত্র দেখার বিষয়, তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বেআইনি ছিল কি না। আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, তা বেআইনি ছিল না এবং আপিলটি খারিজ করা হল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা ২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে তার দুই বন্ধুকে নিয়ে সিরিয়া পালিয়ে গিয়েছিলেন।
সেখানে তিনি সিরিয়ার আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দেন। বিয়ে করেন আইএসের এক জিহাদিকে। সেখানে তার তিনটি সন্তান হলেও এখন তাদের কেউ আর বেঁচে নেই। ২০১৯ সালে তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। ওই বছরই তৎকালীন বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দর্শিয়ে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেন।
Posted ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh