বাংলাদেশ অনলাইন : | বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
শত বাধা পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদ নির্মাণ করেছেন তিনি। এই কাজ করতে গিয়ে নানা ধরণের বাধার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। তবুও তিনি দমে যাননি। স্থানীয়দের তীব্র বিরোধীতার পরও তিনি মসজিদ নির্মাণা করেছেন। বলছিলাম দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ইউটিউবার দাউদ কিমের কথা।
ইয়ংজং দ্বীপে মসজিদ নির্মাণের পর হৃদয়স্পর্শী একটি ভিডিও আপলোড করেছেন এই ইউটিউবার। ভিডিওতে মসজিদ নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায় দেখানোর পাশাপাশি তাকে সাহায্যকারী দলের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন কিম। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে কৃতজ্ঞতা এবং আনন্দ প্রকাশ করে দাউদ কিম লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে আমি মসজিদ নির্মাণ করতে পেরেছি। আপনাদের সহায়তায় আমি আল্লাহর ঘর বানিয়েছি। ধন্যবাদ।
জানা গেছে, মসজিদ নির্মাণের এই যাত্রায় নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন দাউদ কিম। প্রথমে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ ডলারে মসজিদের জন্য জমি কিনেছিলেন তিনি। এই অর্থের বেশিরভাগই এসেছে অনুদান থেকে। পরবর্তীতে মসজিদ নির্মাণ করতে গিয়ে ইনচিওনের স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরোধিতার সম্মুখীন হন কিম, যার ফলে জমির মালিক চুক্তিও বাতিল করেছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি ছিল এখানে মসজিদ নির্মাণ করা হলে জমির দাম কমে যাবে। শুধু তাই নয়, কিম এই মসজিদ নির্মাণ কতে গিয়ে প্রশাসনিক বাধারও সম্মুখীন হয়েছন। ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ার জন্য মসজিদের নির্মাণ আটকে ছিল।
প্রশ্ন হলো- কে এই দাউদ কিম। মূলত তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার একজন গায়ক এবং ইউটিউবার। তার মূল নাম ছিল কিম জায় হান। ইউটিউবিং করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াতেন। ঘুরতে ঘুরতে তিনি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও তিউনিশিয়া যান। দেশগুলোতে গিয়ে ইসলাম ধর্মকে কাছ থেকে দেখে ও বুঝে তিনি আকৃষ্ট হন। এরপর বদলে যান। চলে আসেন দ্বীনের পথে। নিজের নাম রাখেন দাউদ কিম।
দক্ষিণ কোরিয়ার শেওনানে জন্মগ্রহণ করা ২৯ বছর বয়সী এই কোরিয়ান বাংলাদেশেও এসেছিলেন। বাংলাদেশ ঘুরে তিনি ওমরাহ হজ পালন করতে যান। এটি তার দ্বিতীয় ওমরাহ হজ। হজ পালন করতে গিয়ে নিজের উপলব্ধির কথা তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছিলেন।
২০২৩ সালে করা এক ফেসবুকে পোস্টে দাউদ কিম লিখেন, আমি আবারও মক্কায় এসেছি। এই জায়গা আমার হোমটাউনের মতো, খুব শান্তিপূর্ণ এবং খুবই পবিত্র। আমার জীবনটা এলোমেলো ছিল। ভেবেছিলাম আমি সবচেয়ে দুর্ভাগা ব্যক্তি। ভাবতাম কেন আমরা জন্মেছি? কেন আমরা বেঁচে থাকি? আমরা কোথায় যাচ্ছি? পথহারা হয়ে ঘুরে বেড়াতাম এসব প্রশ্নের উত্তরের আশায়। ইসলাম আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।
Posted ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh